Description
চার-চারবার এইচএসসি পাশ করার ব্যর্থ চেষ্টার পর অবশেষে হাল ছেড়ে দিলো হান্নান। বর্তমানে সে একটি বহুজাতিক কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার, কারণ তার মামা সেই কোম্পানির কান্ট্রি হেড। অফিসের লোকজনের কাছে অবশ্য সে “মাস্টার্স ফ্রম ম্যানচেস্টার।” হান্নানের ওঠাবসা সমাজের উঁচুশ্রেণীর ফাতরা ছেলেপিলের সাথে। সেই ফাতরা ছেলেপিলেদের একজনের নাম পঞ্চম।
পঞ্চম একদিন জানালো, গাজীপুর শালবন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটা জায়গা আছে। সেখানে এমন এক বস্তু পাওয়া যায়, যা খেলে তুখোড় পিনিকের সন্ধান মেলে। হান্নান দেরি না করে সেখানে চলে গেলো। তারপর ভীষণ ঝড়ের কবলে পড়ে ফিরে এলো পঞ্চমের লাশের কাটা মাথা সাথে নিয়ে।
ফেরার পর দেখা গেলো হান্নানের মামার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। হঠাৎ করেই বললেন, “তুই যদি কখনও বোতলে পরী আটকাতে পারিস, তবেই এই বিপদ থেকে মুক্তি পাবি। নাহলে সামনে ঘোর বিপদ।’ এদিকে পঞ্চমের কাটা মাথা কথা বলতে শুরু করল্ ভীষণ মেজাজ গরম ওর, তবে গালিগালাজ করেও সঠিক বুদ্ধি বাতলে দেয়। নিরুপায় হান্নান উপায় খুঁজতে মাঝরাতে রাস্তায় নামল। সাথে পঞ্চমের কাটা মাথা, পেছনে পুলিশ এবং বারোটি হিংস্র কুকুর।
শেষপর্যন্ত খোঁজ মিলল মগবাজারের এক সস্তা হোটেলের। সেখানে কবিগুরুর মতো চেহারার শামীম উদ্দিন কাঁধে দুটো কাক নিয়ে ঘরে ঢুকে বললেন, “চমৎকার, ধরা যাক দু-একটা পরী এবার।”
পুরো পৃথিবী জুড়ে নেমে এসেছে চিরস্থায়ী সন্ধ্যা।
পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে ভয়ঙ্কর এক শত্রু।
হান্নান কি পারবে ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে
পৃথিবীকে রক্ষা করতে?
Reviews
There are no reviews yet.