Description
“সোনার তরী” কাব্যে এসে কবির মানবপ্রীতি নতুন মাত্রা পায়। এতে বাংলার বৃহত্তর জনজীবনের প্রতি আকর্ষণ লক্ষ্যনীয়। এ পর্যায়েই কবির কাব্য চেতনায় জীবনদেবতা তত্ত্বের উন্মেষ ঘটে।[২] এই কাব্যের অনেকগুলি কবিতার সঙ্গে পদ্মাপাড়ের পল্লিপ্রকৃতির গভীর যোগ বিদ্যমান। রবীন্দ্রনাথের নিজের ভাষায়, “আমার বুদ্ধি এবং কল্পনা এবং ইচ্ছাকে উন্মুখ করে তুলেছিল এই সময়কার প্রবর্তনা, বিশ্বপ্রকৃতি এবং মানবলোকের মধ্যে নিত্য সচল অভিজ্ঞতার প্রবর্তনা। এই সময়কার কাব্যের ফসল ভরা হয়েছিল সোনার তরীতে।”[৫] “সোনার তরী” (কাব্যের নামকবিতা) কবিতাটিতে কবি জীবন ও তার কীর্তির ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্বের কথা বলেছেন। এই কবিতার শেষ পংক্তিদুটি অবিস্মরণীয় – “শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি/ যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।”
এই কাব্যের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কবিতা হল “সোনার তরী”, “বিম্ববতী”, “সুপ্তোত্থিতা”, “বর্ষাযাপন”, “হিং টিং ছট”, “বৈষ্ণবকবিতা”, “দুই পাখি”, “যেতে নাহি দিব”, “বসুন্ধরা”, “নিরুদ্দেশ যাত্রা” ইত্যাদি।
Reviews
There are no reviews yet.