Description
আরশাদের চোখে স্বচ্ছ আকাশের প্রতিফলন। হাত দুটো সবুজ ঘাসের ওপর। লজ্জার মাথা খেয়ে ঘোরলাগা চোখে অরা তাকিয়ে আছে তার দিকে। এ জীবনে দেখা সবথেকে সুন্দর দৃশ্যটা তার সামনে। এই দৃশ্যের একটা মুহূর্ত থেকেও কী করে বঞ্চিত করে চোখ দুটোকে? ছেলেটার সঙ্গে চোখাচোখি হতেই অবশ্য চট করে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো অরা।
সূক্ষ্ম হাসি হেসে আরশাদ অন্যরকম গলায় বলল, “আচ্ছা অরা? অপ্রত্যাশিতভাবে কিছু পেয়ে গেলে তোমার কেমন লাগে?”
অরা বিভ্রান্ত গলায় বলল, “বুঝলাম না।”
“মনে করো তুমি এমন কিছু পেয়ে গেলে, যা পাবার আশাও কখনো করোনি। সেটা পেয়ে যাওয়ার তোমার কেমন লাগবে।”
অরা খানিকক্ষণ ভেবে বলল, “ডিপেন্ড করে সেটা কেমন, তার ওপর। যদি মূল্যবান কিছু হয়…”
সে আর কিছু বলার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে আরশাদ দৃঢ় গলায় বলল, “ধরে নাও মূল্যবান কিছুই। ইন ফ্যাক্ট জীবনের সবথেকে মূল্যবান কিছু একটা।
অপ্রত্যাশিতভাবে তা পেয়ে গেলে তুমি কী করবে?” অরা কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে অস্পষ্ট গলায় বলল, “যত্ন করে আগলে রাখবো।”
“কিন্তু কতদিন? সব যত্নেরই তো একটা সীমা আছে।” “জীবনে মূল্যবান যা, তার প্রতি যত্ন কখনো ফুরিয়ে যায় না। তা সে মানুষ হোক, কিংবা জড় পদার্থ।”
অরার এই কথাটা কি মুগ্ধ করলো আরশাদকে? না হলে তার চোখদুটো মুগ্ধতা নির্ভয়ে খেলে বেড়াবে কেন? মুগ্ধতা আড়াল করেই আরশাদ বলল, “বুঝলাম।”
“কিন্তু হঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন করলেন?”
আরশাদ স্বস্তিমাখা কণ্ঠে বলল, “কারণ আমি বোধ হয় আমার জীবনের সবথেকে মূল্যবান জিনিসটা পেয়ে গেছি।”
Reviews
There are no reviews yet.