Description
হজরত ইসা আলাইহিস সালাম বলেছেন¾ ‘তোমরা দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে দূরে থাকো। কেননা দুনিয়া আল্লাহর নিকটে নাপাক বস্তুর মতো।’ একবার বাশির ইবনু কা’ব রহিমাহুল্লাহু তার বন্ধুদের বলেন¾ ‘এসো, আজ আমি তোমাদেরকে দুনিয়ার স্বরূপ দেখাব। এ কথা বলে তিনি তাদেরকে একটি নর্দমার কাছে নিয়ে যান। অতঃপর বলেন, দুনিয়া হলো নর্দমায় পড়ে থাকা মৃত প্রাণী, পচা ফলমূল এবং খাবারের উচ্ছিষ্টের মতো।’ আবদুল ওয়াহিদ রহিমাহুল্লাহু বলেন¾ ‘দুনিয়া কী? দুনিয়া তো বেশি কিছু না। প্রচণ্ড তৃষ্ণার সময় মানুষ মাত্র এক ঢোক পানির বিনিময়ে পুরো দুনিয়া বিক্রি করে দিতে চাইবে।’ আবু মুআবিয়া রহিমাহুল্লাহু বলেন¾ ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াকে তার সর্বোচ্চ লক্ষ্য বানাবে, আখিরাতে দুশ্চিন্তা তাকে ঘিরে ধরবে।’ এমনই ছিল আমাদের সালাফদের চোখে দুনিয়া। তারা এভাবেই দুনিয়াকে দেখেছেন। কিন্তু বিপরীতে আমরা কীভাবে দুনিয়াকে দেখছি? দুনিয়া কী? দুনিয়ার সাথে আমাদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? এখানে মানুষ কেন আসে? আবার কেনই-বা ক’দিন পরে চলে যায়? আমাদের রব, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুম এবং সালাফগণ দুনিয়াকে কোন চোখে দেখতেন এই বিষয়টি নিয়েই তৃতীয় হিজরি শতকের মহান একজন প্রসিদ্ধ সালাফ ইমাম ইবনু আবিদ দুনিয়া রহিমাহুল্লাহু রচনা করেছেন কিতাবুয যুহুদ নামক একটি পুস্তিকা। তারই অনূদিত রূপসালাফদের চোখে দুনিয়া।
Reviews
There are no reviews yet.