Description
যে অক্সিজেন ব্যতীত আমরা কয়েক মিনিটও বাঁচতে পারি না, সেই অক্সিজেনকে কুক্ষিগত করে ফায়দা লুটছে কোনাে এক ব্যবসায়ী গােষ্ঠী। সেই সময়ের সেই পৃথিবীকে কি খুব বেশি অমানবিক ও অনৈতিক মনে হচ্ছে? পৃথিবীর চারভাগের তিন ভাগ জল। সকল প্রাণের উৎপত্তিস্থল এই জলও কিন্তু আমরা বিনামূল্যে পাচ্ছি না। অক্সিজেনের কিঞ্চিৎ হেরফের হলেই পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে অনেক প্রাণ। কে নিয়ন্ত্রণ করছে অক্সিজেনের এই মাত্রা? আদৌও কী কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে? না কি প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই এই চক্র চলমান? তাহলে কী বা কে সেই ‘প্রকৃতি’? অক্সিরেট! ভিনগ্রহের কোনাে বুদ্ধিমান স্বত্বা? না কী কালের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া কোনাে সভ্যতা? না কী আমাদের পূর্বপুরুষরা স্বর্গ-তাড়িত কোনাে মহাপুরুষ? অস্থির হয়ে উঠেছে আলতেরাে। পালিয়ে যাবে দূরের কোনাে গ্রহে বা সমরে? না কী বীভৎস শােষণের বিরুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে সংগ্রামের? তবে কী আবার নতুন করে লিখতে হবে সভ্যতার ইতিহাস? পুরাকীর্তি খননে-পাওয়া মহাজাগতিক বস্তুটিকে কেন্দ্র করে দ্রুত গল্পের ঘটনা একের পর এক বাঁক খেয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। উনসত্তরের চন্দ্র-বিজয়ের বছর; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছােট একটি দল জড়িয়ে গেলেন শ্বাসরুদ্ধকর এক অনুসন্ধানে। যখন পূর্ব পাকিস্তান আগ্নেয়গিরির মতাে বিস্ফোরণের অপেক্ষায়! অস্থির এই সময়ে পারবেন কী তারা তাদের অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে? উপন্যাসটিতে সমান্তরালভাবে এগিয়েছে কয়েকটি কাহিনির স্রোত। সকল সােতের মিলনবিন্দুতে দুই বৃদ্ধ বিজ্ঞানী কি খুঁজে পাবেন তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর? না কী সেই উত্তর আবার উন্মােচন করবে নতুন কোনাে রহস্যের দ্বার?
Reviews
There are no reviews yet.