Description
(ফ্লাপের লেখা)
বুড়িগঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে মাথাবিহীন অর্ধগলিত একটি মানব দেহ ভেসে উঠেছে। ধারালো কিছু দিয়ে খুব সূক্ষ্মভাবে গলা থেকে পৃথক করা হয়েছে নিহতের মস্তক। যেন কোনো নিষ্ঠুর শিল্পীর সুনিপুণ কর্ম নিদারূণভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে এই নৃশংসতায়।
সন্ধ্যার পরপর সদরঘাটের বয়োজ্যেষ্ঠ মাঝি হানিফ মিয়া সর্বপ্রথম ভাসমান লাশটি দেখতে পায়। কূলের কচুরিপানার ভিতর সেঁধিয়ে ছিল মরদেহটি। স্টিমারের গমনাগমনে জন্ম নেওয়া তুমুল ঢেউ জলজ উদ্ভিদ আর স্থূল আবর্জনার সাথে লাশটিকেও দোলাচ্ছিল সমান তালে। বরিশাল থেকে আসা পারাবত-১১ এর উগ্র আলো উদ্ভাসিত হতেই অস্বাভাবিক বস্তুটির দিকে নজর পড়ে হানিফ মিয়ার। পঞ্চাশোর্ধ ক্ষীণ দৃষ্টিতে প্রথমটায় সে ঠাহর করতে পারে না। চোখ সয়ে আসতেই ভয়ের একটা শীতল স্রোত সরীসৃপ প্রাণীর মতো তার মেরুদণ্ড বেয়ে নেমে যায়…
Reviews
There are no reviews yet.