Description
হঠাৎ সুদীপের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। কোন একটা আওয়াজ আসছে ওর কানে। ভালো করে শুনতেই বুঝতে পারলো আওয়াজটা কিসের। একটা বাচ্চার কান্নার শব্দ। শব্দটা যেন আস্তে আস্তে বাড়ছে। খুব করুণ একটা কান্না। অদ্ভুত একটা মায়া জড়িয়ে আছে এই কান্নায়। সুদীপ ভাবলো হয়তো এটা ওর হ্যালুসিনেশন। ঘুমানোর চেষ্টা করা সত্বেও ঘুমাতে পারলো না। কান্নার শব্দটা আস্তে আস্তে তীব্র হচ্ছে। এবার সুদীপ একটু ভয় পায়। বাতি জ্বালায়। পাশেই শুয়ে আছে নীলা। আস্তে আস্তে নীলাকে ডাকলো— নীলা! নীলা! ডাক শুনে নীলা জেগে উঠলো। সুদীপ নিচু স্বরে বলল— কিছু শুনতে পাচ্ছো?
কই না তো— বললো নীলা। সুদীপ আবার বললো আরে ভালো করে শুনো, শুনতে পাবে। একটা বাচ্চার কান্নার শব্দ।
কই কোন শব্দই তো পাচ্ছিনা। তুমি হয়তো কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছো। চলো এখন ঘুমাও। বলে বাতি অফ করে দিলো নীলা। সেদিন রাতের মতো আর কিছুই হলো না।
খাবার টেবিলে নীলা হঠাৎ জিজ্ঞেস করে আচ্ছা সুদীপ, মানুষ এতো জঘন্য কেন হয়? এতো নীচ কীভাবে হতে পারে?
সুদীপ বললো— কি হয়েছে? আজ এতো রেগে আছো যে?
নীলা সুদীপের কথার উত্তর না দিয়ে বললো— আচ্ছা অ্যাবরশন কেন করে মানুষ? কি শান্তি পায় ওরা একটা জীবনকে হত্যা করে?
কথাটা শুনে সুদীপের চেহারার রঙ পাল্টে গেলো। অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে আমতা আমতা করে বললো— কেন কি হয়েছে? হঠাৎ এই কথা বলছো যে?
Reviews
There are no reviews yet.