Description
“রিঙ্গণপুর” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
অযাচিত যেকোনাে কিছু জীবনের সংস্পর্শে এলে তা গ্রহণ করে মানিয়ে নিতে বেসামাল লাগে। তারপর একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকে সেই অসামঞ্জস্যতা। না চাওয়া যখন জোরপূর্বক সঙ্গী হয় তখন তা নির্মূলে অক্লান্ত পরিশ্রমেও বিশেষ কিছু হয় না। তবে ক্লান্তির ফল সুনিশ্চিত হয়, এবং তা প্রাপ্তি হয়ে জীবনে আসে একবার হলেও।
সেদিন বিজয়ী মিছিলে গুলিবিদ্ধ হবার ঘটনাটি আজাদের জীবনে ছিল অনাকাক্ষিত। যার পরিণতি দেড় বছর তাকে ভুগিয়ে অবশেষে নিস্তার দিতে চলেছে। আসছে ভাের পেরিয়ে দুপুরের আগেই আজাদের বাড়ি ফেরা হবে। এ নিয়ে আজাদ উদ্বিগ্ন।
আজাদের মনে পড়ে মায়ের কথা, মনে পড়ে বাবার কথা। কতদিন হয়ে গেলাে তাদের কবরের কাছে যাওয়া হয়নি। কতদিন হয়ে গেলাে কবরের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বাবাকে বাবা বলে ডাকা হয়নি, মাকে মা বলে ডাকা হয়নি। আচ্ছা এই দুরত্ব কি সময়ের সাথে সাথে-ই হয়ে যায়? এমন দুরত্ব হবার জন্যেই কি মানুষের জীবনে নানান দুর্বিষহ সময় আসে? যেনাে গচ্ছিত শােক হৃদয়ে গেঁথে থাকা থেকে অন্য বেদনার ব্যাথাতুর আয়ােজনে উপড়ে ফেলা যায়!
Reviews
There are no reviews yet.