Description
অন্যদের ক্ষেত্রে “মাথায় ভূত চাপা” বিষয়টা কথার কথা হলেও, মোফাচ্ছের হোসেনের বেলায় কথাটা একশ ভাগ বাস্তব। কীভাবে? -ঘটনার শুরু তাঁর চাকরি থেকে অবসর নেয়ার দিন থেকে। হঠাৎ করে মোফাচ্ছের সাহেবের সব ওলটপালট হয়ে গেল। তিনি নিজেও উল্টাপাল্টা হয়ে গেলেন। শান্তশিষ্ট, গোবেচারা লোকটা হয়ে গেলেন খিটখিটে আর ঠোঁটকাটা। মাথা ভরতি ঘন চুল একদম টাক করে, সারাদিন পানি ঢালেন মাথায়। তাঁর নাকি মাথায় গরম লাগে।
মোফাচ্ছের সাহেব সহ সবাই ভেবেছিল চাকরি জীবন শেষ হওয়ার কারণেই হয়তো তাঁর এই পরিবর্তন। কিন্তু এক রাতে তিনি আবিষ্কার করলেন, তাঁর মাথায় এসে খাঁটি গেড়েছে এক অশরীরী সত্ত্বা। যেন একটি শরীরে দুটো আত্মার বাস। একে তিনি কখনো ভয় পান, কখনো একে তাঁর ভালো লাগে। ওর চিন্তা ভাবনার সাথে তাঁর নিজের চিন্তা ও কাজ মিলে এক নতুন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এ কথা তিনি কাকে বলবেন? তাঁর প্রতিটি কথা, প্রতিটি কাজে সেই সত্ত্বার প্রচ্ছন্ন প্রভাব। সেই অশরীরীই তাঁকে জানায় এক অজানা, অলৌকিক, আর বিপজ্জনক জগতের সন্ধান। যে জগৎ আমাদের চোখের সামনেই বিরাজমান, তবে তারা সবাইকে দেখা দেয় না। কিন্তু মোফাচ্ছের হোসেনকে দেখা দিল তারা। তিনি ভেবে পেলেন না তাঁর মতো একজন ছা-পোষা মানুষের সাথেই কেন এমন হলো?
এভাবে চলতে চলতেই তিনি আবিষ্কার করেন এক বিপজ্জনক সত্য- নিজের অজান্তেই জীবন-মরণ বিপদের মধ্যে জড়িয়ে গেছেন তিনি। বিনা কারণে তাঁর মাথায় জায়গা নেয়নি ও। এক বিশেষ কারণেই অপার্থিব সত্ত্বাটি বেছে নিয়েছে তাঁকে। এখন তাঁর সামনে দুটো পথ খোলা। তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, কোন দিকে যাবেন। নিজেকে উৎসর্গ করবেন অন্যের ভালোর জন্য? নাকি স্বার্থপরের মতো নিজেকে বাঁচাতে বিপদে ফেলবেন বাকি সবাইকে? তিনি কি শেষ পর্যন্ত সৌভাগ্যবানদের কাতারে থাকবেন? নাকি দুর্ভাগাদের দলে?
Reviews
There are no reviews yet.