Description
কোয়ান্টাম আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে বেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তির করাই এর লক্ষ্য। স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙ্ঘবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যের অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তুরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
কোয়ান্টাম মেথডকে সহজবোধ্য ভাবে এ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে যিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর নাম মহাজাতক। প্রশ্নোত্তরের আদলে কোয়ান্টাম মেথডের বিভিন্ন উপযোগিতার কথা তুলে ধরেছেন অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায়। কোয়ান্টাম মেথডের বিষয়ে যার কোনও জ্ঞান নেই সে-ও-বইটি পড়ে আত্নউন্নয়নের বিষয়ে অনেক দিন নির্দেশনা পাবে। এখানে বইটির সামান্য অংশ তুলে দিচ্ছি; কোও একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনাদের ক্যাসেটে লেখা থাকে-টেনশন মুক্তির জন্যে মেডিটেশন। মেডিটেশন কীভাবে টেনশন থেকে মুক্তি দিতে পারে? এর উত্তরে চমৎকার উদাহারণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। যেমন চিন্তা যদি করতেই হয় দুশ্চিন্তার দরকার কী? সুচিন্তা করুন। একজন লোক ছোরা নিয়ে দৌড়াচ্ছে, এটা কল্পনা না করে কল্পনা করুণ একজন গোলাপ নিয়ে দৌঁড়াচ্ছে আপনার পেছনে । আহারে বেচারা আমাকে ধরতেও পারছে না। গোলাপটা দিতেও পারছে না। এরকমটা কল্পনা করলেই তো মনে শান্তি এসে যায়। শিথিলায়ন বা মেডিটেশনে আমরা সুন্দর সুন্দর চিন্তাই করছি। তাই টেনশন চলে যাচ্ছে । টেনশনের ব্যাপারে নবীজী (সাঃ) এর একটা হাদিস এখানে উল্লেখ্য। তিনি বলেছেন, উত্তেজিত হয়ে দাঁড়ানো থাকলে বসে পড়ে, বসা থাকলে শুয়ে পড়ো । টেনশনের প্রকৃতি হচ্ছে শোয় মানুষকে দাঁড় করিয়ে দেয়া। তাই দাঁড়ানো মানুষ যদি শুয়ে পড়তে পারে তার উত্তেজনা, টেনশন দূর হয়ে যায়। শিথিলায়নে আমরা আসলে প্রত্যেকটা কোষকে শুইয়ে দিই….৪৬৪ পৃ্ষ্ঠার এই বইটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে, তবেই এ থেকে সুফল পাওয়া সম্ভব হবে। বইটি কোয়ান্টাম চর্চাকারী ও সাধারণ পাঠকের উপকারে আসবে।
Reviews
There are no reviews yet.