Description
জীবদ্দশায় তো বটেই, মৃত্যুর বহুদিন পরেও তাঁর পরিচয় ছিল কেবলমাত্র কবি হিসেবেই। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রভাবসঞ্চারী সেই মানুষটির নাম জীবনানন্দ দাশ। যার উপন্যাস ‘মাল্যবান’-এর রচনাকাল ১৯৪৮। অথচ গ্রন্থাকারে আবির্ভাব ১৯৭০ সালে। উপন্যাসের চিরচেনা ছকে আবদ্ধ নয়। আধুনিক এবং অসুখী দাম্পত্য জীবনের আদি-অন্তহীন এক অনন্য জীবনানন্দীয় আখ্যান।
মাল্যবান-এর পরতে পরতে কুয়াশা, হারিয়ে যাওয়া পথ, পথের ধারে খাদ। অসুখী ব্যক্তি মানুষের অসহায়ত্ব, জীবন নিয়ে খেলা, আপসের কৌশল। আছে সংঘাত, আছে গভীর জীবনবোধ। ফিরে ফিরে আসে চল্লিশের কলকাতা, শহুরে মধ্যবিত্ত চাকুরে মানুষের জীবনযাপনের অস্তিত্ববাদী এক মহাকাব্যিক আখ্যান। মাল্যবান, উৎপলা, হেম, কল্যাণী- প্রত্যেকের বেদনাই পৃথক, অস্তিত্বের যন্ত্রণাও। জীবন, বিশেষত দাম্পত্য জীবনের উৎকট বীভৎস এক রূপ।
মাল্যবান প্রসঙ্গে কবি, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক গৌতম মিত্র লিখেছেন, ‘দুটো শব্দের অন্তর্র্বর্তী শূন্যতা, নির্জ্ঞানের বর্ণমালা, গুহাবাসী একজন ভাষাশ্রমিকের সংলাপ বইটির পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়।’ জীবনানন্দের কবিতার মতোই উপন্যাসও ঘোর তৈরি করে চলে। অস্বস্তি ও আনন্দ দেয়।
Reviews
There are no reviews yet.