Description
“মানুষের আদি উৎস”বইটির প্রথমের কিছু কথা: “কোথা থেকে এলাম আমি”—এ জিজ্ঞাসা মানুষের আজকের নয়; বরং হাজার হাজার বছরের। এ যাবত মানুষ এ প্রশ্নের জবাব হিসাবে যে ধারণা গড়ে তুলেছিল—তার উৎস ছিল শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা আর দার্শনিক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। কিন্তু একান্ত হালে আধুনিক যুগে এসে মানুষ তার নাগালের মধ্যে। পেয়ে গেছে এমন সব তথ্য ও পরিসংখ্যান—যার দরুন মানুষ তার অরিজিন বা আদি উৎসের সমস্যা মােকাবিলায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারছে। আজ আমরা এমন এক আধুনিক যুগে বসবাস করছি-যে যুগটা হচ্ছে যুক্তির যুগ এবং বিজ্ঞানের নবনব আবিষ্কারের যুগ। শুধু তাই নয়, এই পর্যায়ে এসে এমন দাবি করাও আজ সম্ভব হচ্ছে যে, মানুষের বুদ্ধিমত্তা যে প্রশ্নই উত্থাপন করুক না কেন এবং সে সব প্রশ্ন যত কঠিন ও যত জটিলই হােক না কেন, আধুনিক যুগের এইসব তথ্য ও যুক্তি, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের এবংবিধ আবিষ্কার-উদ্ভাবনের সহায়তায় সে সব জিজ্ঞাসার জওয়াব প্রদান সম্ভব। এ ব্যাপারে প্রথমেই আসে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের কথা। বলা হচ্ছে, আধুনিক সেকুলার জ্ঞান-বিজ্ঞান মানুষের অরিজিন বা আদি উৎস সম্পর্কেও সঠিক ও চূড়ান্ত ধারণা প্রদানে সক্ষম। উদাহরণ হিসাবে ডারউইনের “অন দি অরিজিন অব স্পেসিস” গ্রন্থটির কথা বলা হয়। এটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৬৯ সালে, ইংল্যান্ডে। সেই সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী বহুকাল ধরে এই পুস্তকে বর্ণিত থিওরিকেই মানুষের আদি উৎস-সংক্রান্ত যাবতীয় জিজ্ঞাসার। মােক্ষম জওয়াব হিসাবে গণ্য করে আসা হচ্ছে এবং আধুনিক মানুষ নির্বিবাদে তা মেনেও নিয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.