Description
আহ! কী মনোরম দৃশ্য! চারদিকে ছায়াবীথি, সুবিস্তীর্ণ প্রান্তর। সেই প্রান্তর ধরে সাইরেন বাজিয়ে চলে যায় রাতের ট্রেন। কুমারী মেয়েদের হাসির কলকাকলিতে পুরো গ্রাম একাকার। রাতের জোৎস্না আলোয় এই কুমারী পরীদের চেহারাসুরত দেখে মোহনীয় হয়ে ওঠে রাতের চাঁদ। এসব দৃশ্য যে কেউ দেখলে নিজেকে হারিয়ে ফেলে অনায়সে। মনের অজান্তে বলে ওঠে আহ! কী মায়াবী, কী মনোমুগ্ধকর এই গ্রাম। রাতের তারার ঝিকিমিকি আর জোনাকি পোকাদের মাতামাতিতে মন জুড়িয়ে যায়।
হ্যাঁ, আমি বলছি সুজয়নগর গ্রামের কথা।
এই গ্রামের কথা কে না জানে?
শহর থেকে যখন কেউ এ গ্রামে বেড়াতে আসে তখন এর মায়াবী প্রেমে পড়ে যায়।
পড়বেইবা না কেন?
কুলুকুলু রবে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে হাড়িয়াভাঙা নদী। নদীর উপর বিশাল নীল ছাদ ‘গগণ কুমার।’ গগন কুমারকে মাথায় ধরে আছে বিশাল বিশাল বটগাছ। সেই গাছের ডালপালা এতো বিস্তৃত ও সবুজ যে, সুদূর বনবাঁদার থেকে হালকা সবুজ ঝাঁকে ঝাঁকে টিয়ে পাখি এসে গাছের পাতার ফাঁকে নিজেকে লুকিয়ে গাছের সঙ্গে মিশে যায়। আর গগন কুমারের বুকে নাভীর মতো ঝুলে থাকে ‘গগণ চাঁদ।’
পূর্ণিমা রাতে তার মোহনীয় শীতল আলোয় গা ভেজালে শরীর হয়ে ওঠে, আকাঙ্ক্ষার জোয়ারে পূর্ণবান যুবতী নদী।
সুখ শান্তিতে ভরা মনোহরা গ্রামখানি।
Reviews
There are no reviews yet.