Description
ভাস্কো দা গামা ছিলেন পর্তুগালের বাসিন্দা। তাঁর সঠিক জন্ম তারিখ জানা যায়নি। ১৭৫৫ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বড় ধরনের এক ভূমিকম্প হয়। এতে সেখানকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র হারিয়ে যায়। এ কারণে গামার শৈশব সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। ধারণা করা হয় ১৪৬০ সালে তাঁর জন্ম। গামার বাবা ছিলেন সাইনেসের গর্ভনর। এটি পর্তুগালের দক্ষিণাঞ্চলীয় এক মৎস্য-বন্দর। ১৪৯৭ সালে গামা ছিলেন একজন তরতাজা যুবক। তখন তিরিশের ঘরে তাঁর বয়স। শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত গামার বিভিন্ন প্রতিকৃতি (পোর্ট্রেট) দেখে তাঁর দৈহিক গড়ন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায়। গামার চোখ দুটি ছিল বাদামি, মাথার চুল ছিল লালচে, আর গাল ভর্তি ছিল লম্বা দাড়ি।
গামার যুবক বয়সে প্রথম ম্যানিল পর্তুগালের রাজা হয়েছিলেন। ১৪৯৫ সালে মাস ২৬ বছর বয়সে তিনি সিংহাসনে বসেন। পূর্বসূরিদের কিছু অসমাপ্ত উদ্যোগে হাল ধরেন তিনি। বেশিরভাগই ছিল সমুদ্রাভিযান বিষয়ক। ম্যানিল সাফল্যের সঙ্গে এই অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করেন। ১৫২১ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামলে ধনসম্পদে ব্যাপক সমৃদ্ধি অর্জন করে পর্তুগাল। এ কারণে প্রথম ম্যানিলের শাসনামল পর্তুগিজ ইতিহাসে ‘স্বর্ণযুগ’ বলে পরিচিত। আর ম্যানিলের খ্যাতি রয়েছে ‘পয়মন্ত’ রাজা হিসেবে।
১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই পর্তুগালের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। সেদিন লিসবনের বন্দর থেকে ঐতিহাসিক অভিযানে বেরোয় এক নৌবহর। আর নৌবহর পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন ভাস্কো দা গামা। বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন…
Reviews
There are no reviews yet.