Description
কুঞ্জল কড়াইয়ের গরম তেলে সবে জিরের ফোড়ন ছেড়েছে আর ঠিক তখুনি বাইরের রাস্তা থেকে একটা হাঁক ভেসে আসে, ‘অ্যাই, পুরানা ভাঙাচোরা কিছু আছে এ এ..’
কুঞ্জল থমকে যায়। উঁকি মেরে তাকাতেই লোকটাকে দেখতে পায়। অনেকদিন ধরেই ঘরে বেশ কিছু ভাঙাচোরা জিনিসপত্র জমেছে। লোকটাকে উঁচু গলায় ডাক দিয়ে বাসার গেটে আসতে বলে। লোকটা আসতেই কুঞ্জল পুরনো ভাঙাচোরা জিনিসগুলো সামনে রাখে। লোকটা বস্তার ভেতর থেকে একটা দাড়িপাল্লা বের করে মাপ দিতে থাকে। কুঞ্জল আনমনে চেয়ে থাকতে থাকতে বলে, ‘এগুলো দিয়ে তোমরা কী করো?’
লোকটা একবার মুখ তুলে, বোঝার চেষ্টা করে প্রশ্নটা। তারপর বোঝানোর ভঙ্গিতে বলে, ‘মনে করেন এই পুরান প্লাস্টিক বেচমু প্লাস্টিকের কারবার করে যারা তাগো কাছে। ওরা এইগুলান ধুইয়া মুইছা আগুনে গলাইয়া আবার নতুন প্লাস্টিক বানায়। তারপর এই লোহাও দেখা যায় কোনো না কোনা কামে লাগায়। আফা, এই মেশিনটার মতো দামী পুরানা ভাঙাচোরা আর কিছু আছে?’
শেষের কথাটা লোকটা বেশ আগ্রহ নিয়েই বলে।
কুঞ্জলের হঠাৎ করেই বলতে ইচ্ছে করে, আছে তো! ওর আর অভীকের সম্পর্কটা। বিয়ের এই বারো বছরে তা আজ জরাজীর্ণ, পুরাতন। অথচ একসময় কী ভীষণ দামী ছিল! সেই সম্পর্কটার আজ কোনো মূল্য নেই, অন্তত ওর কাছে। কুঞ্জলের খুব জানতে ইচ্ছে করে, এমন কেউ কি আছে যে এই পুরাতন, ক্ষয়ে যাওয়া সম্পর্কটা নিয়ে ঠিকঠাক করে একদম ঝাঁ চকচকে নতুন একটা টাটকা সম্পর্ক বানিয়ে দেবে?
Reviews
There are no reviews yet.