Description
পাঠককে মানুষের অবচেতনের নিগূঢ় প্রচ্ছন্ন রহস্যলীলার সন্ধান দিতে বাংলাসাহিত্যের আসরে যেন অবতীর্ণ হয়েছিলেন সাত রাজার ধন এক মানিকÑ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ বাংলাসাহিত্যের কালজয়ী এক উপন্যাস, বিশ^সাহিত্যের অনন্য সম্পদ। উপন্যাসটি ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় ছাপা হয় প্রথমে ধারাবাহিক রূপে, পরে গ্রন্থাকারে।
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ মানিকের শ্রেষ্ঠতম সাহিত্যিক কীর্তি। প্রধান চরিত্র শশী যেন ঔপনিবেশিক নিষ্ক্রিয়তার এক প্রতীক। হারুর মৃতদেহ নিয়ে সে গ্রামে ঢোকে, ক্রমে সেই মৃতদেহের জড়তাই যেন গ্রাস করে তাকে। বিলেত যাওয়ার, চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠার, বিবাহিত কুসুমের প্রতি অবদমিত প্রেম ও যৌনতা, কিছুই সফল হয় না তার। শশী চিরকালের মতো গ্রামেই থেকে যায়, আর অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায় কুসুম। মৃত্যুর বিনিময়ে যাদব অর্জন করে মহৎ হওয়ার গৌরব।
লেখক মানিক কমিউনিস্ট ছিলেন, ফ্রয়েডীয় তত্ত্ব, মার্কসীয় দর্শন গ্রহণ করেছিলেন। তারপরেও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’য় কেবল পুতুলদের কথাই ব্যক্ত হয়নি, বরং মনুষ্য সত্তা নির্মাণের মধ্য দিয়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় পুতুল ও মানুষের মহাকাব্যিক এক দ্বৈরথ নির্মাণ করেছেন।
Reviews
There are no reviews yet.