Description
অন্ধকার কাটিয়া- সূর্য উঠিতেছে- প্রভাত চলিয়াছে ক্ষণ-মুহূর্ত প্রহর দিন রাত্রির পথ বাহিয়া সেই প্রকাশিত প্রভাতের দিকে। সমাপনী বাক্য। ‘পঞ্চগ্রাম’, ১৯৪৪ সালে প্রকাশিত উপন্যাস। ‘গণদেবতা’র সমাপিকা। কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গীকৃত। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন আলোকের অভিযাত্রার অনন্য মর্মস্পর্শী এক কথন।
নিজের মধ্যস্থতায়, শক্তিতে; প্রবল অক্লান্ত নিষ্ঠ সক্রিয়তায়। সংশোধনে, বিবর্ধনে।
রাঢ়ের সাঁওতাল, বাগদি, বোষ্টম, বাউরি, ডোমেরা ফিরে ফিরে এসেছে তারাশঙ্করে। অভিজ্ঞতায় আর আঙ্গিকে, বিকাশের প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে তারাশঙ্কর যে উপন্যাসে আত্মপ্রতিষ্ঠ পরিণতি অর্জন করেছেন, তা ‘গণদেবতা’-‘পঞ্চগ্রাম’। পৃথক গ্রন্থ হলেও, এরা একই এপিকের দুটো খণ্ড। লেখকের আদি পরিকল্পনাও ছিল তা-ই, ‘চণ্ডীমণ্ডপ’ আর ‘পঞ্চগ্রাম’ নামে দুই খণ্ডে একটি মহাকাব্যের। যাতে ব্যক্তিপ্রবণতা, ব্যক্তিগত আকাক্সক্ষার ক্রিয়াশীলতা এবং অর্থই যে নব্য পুঁজিতে নির্মিত সমাজের ভিত্তি কাঠামো সেই ঘটমান বর্তমানের শিল্পিত রূপায়ন।
আদ্যন্ত কংগ্রেসি, গান্ধিবাদে বিশ্বাস- প্রকট ও প্রচ্ছন্ন তাঁর লেখায়। ছিল গ্রামসমাজকে একীভূত জনগোষ্ঠীর চেহারায় পাওয়ার বাসনা। প্রাচীন বিধান- প্রতিষ্ঠানকে হঠিয়ে জেগে উঠছে নবীন। এই গর্ভযন্ত্রণার মানবিক বর্ণনাই তারাশঙ্করকে দিয়েছে বাঙালির সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসের ভাষ্যকারের ভূষণ।
Reviews
There are no reviews yet.