Description
সুমির কপালে আজকে কী আছে তা যদি সে ঘুণাক্ষরেও টের পেত, তবে নিশ্চয় বাড়ি থেকে পালাত না! নিয়তি জিনিসটা এমনই- এটাকে দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না; কিন্তু এর ফল ঠিকই ভোগ করতে হয়।
সুমির ইচ্ছে ছিল আজকে আসাদের সাথে ক্যাম্পাস এলাকাটা শেষবারের মতো ঘুরে দেখবে। কিন্তু তা মনে হয় আজকে আর হবে না। আকাশে মেঘ জমেছে। বুনো মোষের মতো কালো মেঘের বুক চিরে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। আকাশে আলোর ঝলকানি এতটাই তীব্র যে, হঠাৎ করে সবকিছু সাদা ফকফকা হয়ে যায় এবং এই তীব্র আলোতে আশেপাশের প্রায় সবকিছুই চোখে পড়ে।
এখন ভর দুপুর। এই সময়টাতে কার্জন হলের এদিকটা নীরব থাকে। আজকে বোধহয় একটু বেশিই চুপচাপ, শান্ত। কিছু ছেলে-মেয়ে দু-চারটা দলে ভাগ হয়ে বোটানির বাগানের পাশটায় বসেছে, আড্ডা দিচ্ছে। একজন আরেকজনের দিকে হেসে ঢলে পড়ছে। ওদের দেখে ভালো লাগছে সুমির। সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসবই দেখছে। হঠাৎ চরাচরে কড়াৎ করে শব্দ হলো। সেই শব্দের সাথে সাথে সুমিও বিকট চিৎকার দিয়ে উঠল। মনে হলো, বাজটা যেন ওর মাথায় পড়েছে। ওর চিৎকার শুনে, আড্ডায় মশগুল ছেলে- মেয়ের দল হেসে দিল।
Reviews
There are no reviews yet.