Description
ভালোবাসা এক ঐশ্বরিক শক্তি; যার আকর্ষণকে কেউ অতিক্রম করতে পারে না। খরস্রোতা নদীর প্রবহমান ধারার মতই এর প্রবল গতি। মানুষ ভালোবাসার প্রথম পাঠ গ্রহণ করে মায়ের কাছ থেকে। প্রচণ্ড আদর, ভালোবাসার একটি শিশু যখন বেড়ে ওঠে, সেসব কোমল সুকুমার বৃত্তি তার মধ্যেও সৃষ্টি হয়। আর বঞ্চনা তাকে বৈরি করে তোলে। তার বেড়ে উঠার প্রতিটি ধাপে ভালোবাসার অবদানকে কোনোমতেই অস্বীকার করা যায় না। একজন মানুষের কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য কোন না কোনোভাবে ভালোবাসার হাতে বাঁধা। কাজেই একে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই, বরঞ্চ নিয়মিত এর পরিচর্যা করতে হয়। ফসল ফলাতে যেমন পরিমিত সার ও পানির প্রয়োজন হয়, ভালোবাসার গোড়ায়ও ঢালতে হয় অনেক কিছু। পরম উষ্ণতায় তাকে জড়িয়ে ভরিয়ে রাখতে হয়। বৈচিত্রতায় ভরিয়ে তুলতে হয় প্রেমের আঙিনা। পারস্পরিক সুসম্পর্কের জন্য সমঝোতায় আসতে হয়, প্রিয়জনের মানসিকতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। উপহারের আদান-প্রদান ভালোবাসার ভিত্তিকে মজবুত করে তোলে। আত্মকেন্দ্রিকতা ভালোবাসার পথে বিরাট অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। প্রায়ই দেখা যায় প্রিয়জনদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা একটি যুক্তি উপস্থান করি যে, সেতো কাছের মানুষ, তাকে ভালোবাসা প্রকাশের প্রয়োজন কি! আমাদের এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সম্পর্ক তথা পরিবারে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। আসুন আমরা সেই ভাঙন রোধ করার নিয়মগুলো জেনে নেই। গেরি চ্যাপম্যানের ‘দ্য ফাইভ লাভ ল্যাংগুয়েজস’ পড়ে ভালোবাাসর বন্ধন মজবুত করি।
Reviews
There are no reviews yet.