Description
স্যার, মাথায় এমনভাবে কো*পানো হয়েছে যে, লোকটার চেহারা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। দেখুন স্যার, পুরো মাথাটাকে কু*পিয়ে এলোমেলো করে দিয়েছে। আমার তো মনে হয় ডিএনএ টেস্ট ছাড়া এই লা*শের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয় স্যার।”
শহরের অদূরে কুঠিবাড়ি জঙ্গলে একটি লা*শ পাওয়া যায়। লা*শের ছয়টি টুকরো, টুকরোগুলো শক্ত হয়ে আছে। লা*শের টুকরোগুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে ফ্রিজিং করা। ফ্রিজিং করা লা*শের টুকরোগুলো এই জঙ্গলে নিয়ে আসা হয়েছিল গুম করার জন্য। কিন্তুু হামিদ মিয়ার জন্য লা*শটাকে গুম
করা সম্ভব হয়নি।
হামিদ মিয়া একজন পাখি শিকারি। কুঠিবাড়ি জঙ্গলে সে এসেছিল পাখি শিকার করতে। পাখি শিকার করতে এসে জঙ্গলে প্রবেশ করেই হামিদ মিয়ার নজরে পড়ে লা*শটা। লা*শের কাছে গিয়ে হামিদ মিয়া ভয়ে আঁতকে ওঠে। এরকম ভয়ংকর খু*ন সে আগে কখনো দেখেনি। ছয় টুকরো লা*শটির পাশেই একটি গর্ত রয়েছে। গর্তটা নতুন, মনে হচ্ছে টুকরো করা লা*শটাকে গুম করার জন্যই করা হয়েছে। সে লা*শটাকে যত দেখছে ততই তার চোখের সামনে ভেসে উঠছে রাকিব খন্দকারকে। রাকিব খন্দকার আরকে গ্রুপ অভ্ কোম্পানির ডিরেক্টর এবং তার শিকার করা পাখির বড়ো ক্রেতা। রাকিব খন্দকার গতকাল সন্ধ্যায় অপহৃত হয়। হামিদ মিয়া মনে মন ভাবে, এই ছয় টুকরো লা*শটা রাকিব খন্দকারের নয়তো?
জঙ্গলের ভেতর
ছয় টুকরো লা*শ দেখে সে ফোন করে পিবিআইয়ের চৌকশ অফিসার এএসপি শাকিল চৌধুরীকে। এএসপি শাকিল চৌধুরী হামিদ মিয়ার ফোন পেয়ে ছুটে আসে কুঠিবাড়ি জঙ্গলে। শাকিল চৌধুরী এসে দেখে জঙ্গলের ভেতর হামিদ মিয়ার রক্তাক্ত লা*শ পড়ে আছে। তার লা*শের পাশেই পড়ে
আছে ছয় টুকরো অজ্ঞাত লা*শটি, যে লা*শের কথা হামিদ মিয়া তাকে বলছিল। লা*শটি দেখে বুঝার উপায় নেই এটি কার। কারণ মাথায় এমনভাবে কো*পানো হয়েছে যে পুরো মাথাটাকে এলামেলো করে দিয়েছে। এএসপি শাকিল চৌধুরীর অজ্ঞাত লা*শের পরিচয় ও তার খুনি কে? তাছাড়া হামিদ মিয়াকে কে খুন করেছে তা শনাক্ত করতে শুরু করে ইনভেস্টিগেশন। শাকিল চৌধুরী যতই ইনভেস্টিগেশনের গভীরে যাচ্ছে ততই একের পর এক খু*ন হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ছয় টুকরো এই লা*শটি কার? তাকে কে খু*ন করেছে? তাছাড়া হামিদ মিয়াকেই বা কে খু*ন করেছে আর পরবর্তী খু*নগুলোই বা কে করছে?
প্রিয় পাঠক, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর রয়েছে ক্রা*ইম থ্রিলার “দ্যা সাইলে*ন্ট কি*লার-২”-এর গভীরে। তাই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে ক্রা*ইম থ্রি*লার “দ্যা সাইলে*ন্ট কি*লার-২”-এর গভীরেই।
Reviews
There are no reviews yet.