Description
ঝড়ের রাত।
তুমুল বাতাসের সঙ্গে বিজলি চমকাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টি কিছুতেই থামছে না। কখন থামবে তা-ও ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মধ্যরাতে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন কাজী নজরুল। জীবনের সবচেয়ে আনন্দের বাসরঘর ছেড়ে অনিশ্চিত গন্তব্যে পা বাড়িয়েছেন তিনি। চারদিকে গাছপালা, ঝোপ- জঙ্গল। ঘন অন্ধকার। সামনে পা ফেলতেই শরীরটা ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে হিমশীতল বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার। ঠান্ডায় একেবারে কুঁকড়ে যাওয়ার দশা হলো। কিছুক্ষণের মধ্যে তার শরীরে কাঁপন শুরু হলো। দাঁতে দাঁতে বাড়ি খেতে লাগল। তারপরও তিনি হাঁটছেন। এবড়োখেবড়ো রাস্তায় কখনো পা ফসকে পড়ে যান। আবার কখনো বজ্রপাতের কানফাটানো শব্দে চমকে ওঠেন। বড় কোনো গাছের আড়ালে আশ্রয় নেন। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আবার তিনি হাঁটতে শুরু করেন।
নার্গিস ঘরে একা। সে কাঁদছে। কান্নার শব্দটা বড় করুণ শোনাচ্ছে। রাতে কান্নার শব্দ পেয়ে আসমাতুন্নেসা ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠেন। কান্নার শব্দ কোন দিক থেকে আসছে, তা কান খাড়া করে বোঝার চেষ্টা করেন। তিনি উৎকণ্ঠার সঙ্গে নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করেন, এত রাতে কে কাঁদছে! কান্নার শব্দ কোথা থেকে আসছে! নার্গিসের ঘর থেকে! কেন? বাসররাতে সে কেন কাঁদবে? এই কান্না নিশ্চয়ই আনন্দের কান্না নয়! এমন ঘটা করে বিয়ে হলো! তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কান্নার কী হলো?
Reviews
There are no reviews yet.