Description
যাদের পড়ে পড়ে দিমিত্রি স্বপ্ন দেখতে শিখেছে, তাদের নামগুলো আলাদা করে রেখেছে কাগজে এবং একেক রাত্রিতে তাদের ছবির ওপর দিমিত্রি কালি লেপে, রক্ত এঁকে, শ্বদন্ত বসিয়ে তাদের পশুতে পরিণত করে। একসময়ের মহৎ লেখক যারা তার বুকে জন্ম দিয়েছিল সুন্দর ও সুমহান জীবনের ছবি, যাদের সঙ্গে হোস্টেলের অকথ্য সব রাতে অনুপম সময় কাটিয়েছে, তাদের ওপর সে তার সাধ্যের ভেতর এভাবে কুৎসিত প্রতিশোধ নেয়। দেখানো স্বপ্নগুলো যে পৃথিবীর ক্ষাত্র যাঁতাকল পাওয়ামাত্র পিষে ফেলবে, তা তারা জানত কিন্তু দিমিত্রির কাছে চেপে গিয়েছে। কেন? চেয়েছিল দিমিত্রি রক্তাক্ত হোক? চেয়েছিল দিমিত্রি গড়ে উঠক? দিমিত্রির চোখের সামনে দেশ বছরের পর বছর, দশকের পর দশক কাটিয়েছে লাখ লাখ প্রাণ বিসর্জনের যুদ্ধে। দশকের পর দশক, প্রজন্মের পর প্রজনন্মা আক্রান্ত হয়েছে ফাঁপা আভিজাত্যের মহামারিতে, মূল্যবোধহীনতায়, দারিদ্র্যে, অন্ধতায়, অনুকরণে, অধর্মে, বিস্মৃতিতে আর হৃদয়হীনতায়। দিমিত্রির মতো কাঁটতুল্য কাঁচক শুধু ন্যায়যুদ্ধের জন্য নির্লজ্জ অপেক্ষা করে গেছে। অবশেষে সেই ক্ষাত্র যাঁতাকল তার স্বপ্নকে দুমড়ে পিষে ফেলল। এর আগপর্যন্ত সে অপেক্ষা করে গেছে। কী আশ্চর্য, পৃথিবী এমন নয় কেউ বলে দিল না? ওই বইগুলোর তথাকথিত বিজ্ঞ লেখকদের প্রত্যেকে তার সঙ্গে এভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করল?
যখন ভাবনাগুলো ক্রমশ তার মতিভ্রম ঘটাতে থাকে সে চেয়ার টেনে লিখতে বসে। খসখস শব্দে অনুচা কাগজে লেখে যা ভুলতে চায় না।
“ওদের সবচেয়ে বড় পাপ ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছে। যে স্বপ্ন সত্য নয়, ভেঙে যাবে, সে স্বপ্ন ওর আমাকে কেন দেখাল? ওদের আমি কোনোদিন ক্ষমা করব না। শাস্তি দেব।”
অতঃপর, শুরু হয় নিজের ওপর তার প্রতিশোধ। যাদের সে ভালোবাসে, তাদের ধ্বংস করে। অতঃপর তীব্রতর হৃৎকান্নার ধারণাতীত কম্পাঙ্কে টুকরো টুকরো টুকরো টুকরো…
Reviews
There are no reviews yet.