Description
“ট্রেজার অভ দ্য লেক”বইটির মুখবন্ধ:
মােনল্যাণ্ড যাওয়ার চিন্তা কেন মাথায় চেপেছিল সে কথা মূল গল্পের কোথাও বলেছি বলে মনে করতে পারছি না। তাই অল্প দুয়েক কথায় সেটা এখানে সেরে নিচ্ছি।
ধর্মীয় ব্যাপারে বরাবরই আমার ধ্যান ধারণা একটু ভিন্ন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নেটালের একটা মনাস্ট্রির দরজা সবসময়ই আমার জন্য ছিল ভােলা। ব্রাদার এমব্রোস নামে একজন সন্ন্যাসী ছিলেন সেখানে। তার আসল নাম বলতে পারব না। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিদ্বান লােক। তবে জুলুদের ভাষায় তিনি “নীচে চলে গেছেন” (অর্থাৎ মারা গেছেন)। ধর্ম ও আত্মা সম্বন্ধে আমার চিন্তা-ভাবনা তাঁর ভালই জানা ছিল। তারপরও তিনি আমাকে যথেষ্ট সম্মান করতেন। জন্ম[ত্রে তিনি ছিলেন সুইডিশ নাগরিক। পেশায় ছিলেন একই সাথে প্রত্নতত্ত্ববিদ ও নৃতত্ত্ববিদ। এ দুই বিষয়ে ব্যাপক বিশ্লেষণধর্মী বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। বুশম্যানদের আঁকা ছবির ওপর তার ছিল অগাধ জ্ঞান। পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য-দক্ষিণ আফ্রিকার অধিবাসীদের ইতিহাস, ধর্ম, আচার ও ঐতিহ্য সম্বন্ধেও তাঁর জ্ঞান ছিল আমার চেয়ে ঢের বেশি। এসব ব্যাপারে আমাদের মতের মিলও ছিল অনেক। ফলে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রায়ই আমরা দেখা করতাম। দেখা করতে না পারলে, চেষ্টা করতাম চিঠি দিয়ে হলেও পরস্পরের সাথে যােগাযােগ রাখতে। ট্রেজার অভ দ্য লেক।
Reviews
There are no reviews yet.