Description
আজানের সুমধুর ধ্বনি কানে আসতেই নাইরা নড়েচড়ে ওঠে। চোখ মেলে দেখে কাইফ ওকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে শুয়ে আছে। এমনভাবে জড়িয়ে রেখেছে যেন সে ছুটে যেতে না পারে। নাইরার ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসির রেখা ফুটে ওঠে। মনে মনে ভাবে, ‘এ পৃথিবী বড়োই আশ্চর্যের! দুদিন আগেও যে ছেলে ঠিকমত বউয়ের মুখের দিকে পর্যন্ত তাকাত না, সেই ছেলে এখন বউকে এক সেকেন্ডের জন্যও চোখের আড়াল করছে না।’নাইরা বেশ শক্ত হাতে কাইফের বাহুবন্ধনী থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে বসে। ফ্রেশ হয়ে অজু করে নেয়। কাইফ তখনো ঘুমে বিভোর। নাইরা নামাজ পড়ে মোনাজাতে দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে মীহাদের জন্য প্রার্থনা করতে শুরু করে। মীহাদের নামটা মুখে উচ্চারণ করলেও হঠাৎ কাইফের মুখটা ওর চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আচমকা নাইরা আঁতকে ওঠে। ভয় পেয়ে যায়। ও কখনো ভাবতেও পারেনি যে মীহাদের জায়গায় কাইফকে ওর মনে পড়বে। তাও আবার মোনাজাতে। কেন এমন হলো সেটাই ভাবতে থাকে সে। নাইরার এমন বোকা বোকা ভাবনায় স্বয়ং বিধাতাও হয়তো মুচকি হাসছে।
Reviews
There are no reviews yet.