Description
জীবন সায়াহ্নে বাংলা সাহিত্যের, বাংলার শ্রেষ্ঠতম মানুষটি পেছন ফিরলেন। লিখলেন শৈশবস্মৃতি। আর রবীন্দ্রনাথ লিখলেন বলেই ‘ছেলেবেলা’ নেহাত আত্মজৈবনিক গ্রন্থ হয়ে রইলো না। হয়ে উঠলো হারিয়ে যাওয়া সময়ের আখ্যান। অতীত ও ভাষা নিয়ে তুখোড় এক নিরীক্ষার উদাহরণ। তিনটি আত্মজীবনী লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জীবনস্মৃতি, আত্মপরিচয়। আর সব শেষে ছেলেবেলা।
কত স্মৃতিই না ভিড় করে এসেছে বিশ্বকবির কলম বেয়ে। প্যারীদাসীর তরি-তরকারি আনা থেকে দুখন বেহারার গঙ্গার জল বয়ে দিয়ে যাওয়া। কৈলাস মুখুুজ্জে, কানা পালোয়ান, মুকুন্দলাল দারোয়ান, ব্রজেশ্বরের মতো কতশত চরিত্র আজও যেন জীবন্ত হয়ে ভেসে ওঠে পাঠকের চোখের সামনে। সেজের আলোয় পড়ছেন। হাতে প্যারী সরকারের ফার্স্ট বুক। ভূতের ভয়ে এক ছুটে মায়ের ঘরে। দিদিমার গল্প বলার আসরের মুগ্ধতম শ্রোতা। দৈত্যপুরী থেকে রাজকন্যা। আর রাশভারী পিতামহাশয় বাড়িতে থাকলে পা টিপে টিপে হাঁটছেন। বেড়ে উঠছেন, পড়ছেন, শিখছেন। হয়ে উঠছেন রবীন্দ্রনাথ; যিনি আজও আমাদের পথ দেখান।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির বাঁধা শাসন ও শৃঙ্খলায় বেড়ে ওঠা সেই চিরশিশু আজও পাঠককে নিয়ে চলেছেন যেন এক স্বপ্নাভিসারে, রূপে-রসে-সৌন্দর্যে যা স্বতন্ত্র-অনন্য।
Reviews
There are no reviews yet.