Description
বাহার ভাই চিত্রার বিছানা খানার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। মেয়েটাকে আপাদস্তক পরখ করে নরম স্বরে প্রশ্ন করলেন, “কেমন আছ, রঙ্গনা?”
অসময়ে অদ্ভুত প্রশ্ন যেন বাহার ভাইয়ের মুখেই মানায়। ভোঁতা যন্ত্রণা নিয়ে বিষাদ হেসে চিত্রা উত্তর দিলো, “আমি তো সবসময়ই ভালো থাকি।”
“তা, ঘুমাওনি কেন?”
বাহার ভাইয়ের প্রশ্নে চিত্রার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল। মানুষটাকে বিব্রতবোধ করাতে বলে উঠল, “আপনার অপেক্ষায়।”
বাহার ভাই হাসলেন। খুব সহজে হাসেন না লোকটা। হয়তো হাসেন কিন্তু চিত্রাদের বাড়ির মানুষ কখনো দেখেনি সেই হাসি। চিত্রা যে যন্ত্রণার মাঝেও ঠাট্টা করছে, ব্যাপারটা বেশ লাগল বাহার ভাইয়ের। উত্তরে বললেন, “বাহারের অপেক্ষায় থেকো না, মেয়ে। কংক্রিটের হৃদয় তো, আবেগ ছোঁয় কম। তোমার অঘোষিত অপেক্ষাদের মৃত্যু হবে পরে। তুমি তো পুষ্পপ্রেমী, কাঁটায় কেন এত ঝোঁক?”
“মিষ্টতা নিতে নাহয় একটু আধটু কাঁটার ঘা হলোই। এতে যদি আস্ত একটা বাহার ভাই পাই, তাতে ক্ষতি কী?”
“বাহার কিন্তু পুড়িয়ে দিতেই জানে কেবল!”
“কতটা পোড়ায় বাহার? সিগারেটের মতন না কি তার চেয়েও বেশি?”
বাহ্! আজ মেয়েটা কথায় জেতার বুদ্ধি করেছে বোধ হয়। বাহার ভাই চিত্রার অসুস্থতায় জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে যাওয়া মুখটার দিকে তাকালেন। খুব ক্ষীণ, স্থির কণ্ঠে বললেন, “রঙ্গনা যদি জ্বলতে আসে তবে কিঞ্চিৎ নাহয় কম পোড়াব।”
Reviews
There are no reviews yet.