Description
“চিত্তরঞ্জন অথবা যযাতির বৃত্তান্ত” বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
নয়টি গল্প নয় রকমের। আবার নয়টি গল্পের মূলাধার একটি গ্রন্থ। সে ‘মহাভারত’। ‘মহাভারত’ মানবজীবনের আকরগ্রন্থ। পাঁচহাজার বছরের পুরনাে এই মহাকাব্যটি এখনাে কীভাবে বাঙালি জীবনে গভীরভাবে প্রােথিত হয়ে আছে, এই গল্পগ্রন্থে তারই অনুসন্ধান চালিয়েছেন হরিশংকর জলদাস। ‘সহােদর’ গল্পে কুন্তীর হাহাকারের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বর্তমানের কুমারী মা-দের আর্তনাদ। ‘তুমি কে হে বাপু’তে ব্যাসদেবের সঙ্গে অদ্বৈত। মল্লবর্মণের সাক্ষাৎ। এই গল্পে বিবর্ণ সম্প্রদায়ে জন্ম নেওয়া দুই মহাজনের বেদনা এক বিন্দুতে মিশেছে। সুরেন্দ্র গাওয়াল’ ও ‘ঢােলদাস’ গল্প। দুটোতে দুজন অন্যরকম মানুষের জীবনালেখ্য বর্ণিত। সুরেন্দ্র আর মনমােহনের মতাে মানুষ আছে বলেই অশেষ ক্লেশের মধ্যেও জীবন এখনাে অনেক আকর্ষণীয়। চিত্তরঞ্জন অথবা যযাতির বৃত্তান্ত’ গল্পটিতে ‘মহাভারতের আশ্রয়ে আপনারই জীবনকথা যেন রূপায়িত। কুন্তীর বস্ত্রহরণে প্রাচীন ও বর্তমানকালের নারীলাঞ্ছনার বেদনা একাকার হয়ে অশ্রু বিসর্জন করছে। ব্যর্থ কামে’ ‘মহাভারতের পাণ্ডু বর্তমান কালের ধরণীবাবু হয়ে উপস্থিত।
বিষয়, ভাষা ও গল্পশৈলীর বৈচিত্র্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হরিশংকর জলদাস আপনার ভেতরটাকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। আপনার ভাবনায় নতুন সংযােজন ‘চিত্তরঞ্জন অথবা যযাতির বৃত্তান্ত গল্পগ্রন্থটি।
Reviews
There are no reviews yet.