Description
‘প্রবাসী’ মাসিকপত্রে ১৯৪১ সালে প্রকাশিত হয় একটি গল্প, ‘কবি’ শিরোনামে। পরবর্তী বছরে সেই বড় গল্পের বীজ থেকে জন্ম নেয় এক ধারাবাহিক উপন্যাস। পাটনা থেকে প্রকাশিত ‘প্রভাতী’ পত্রিকায়। কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বাদশতম কীর্তি। গ্রন্থাকারে নিতাই-ঠাকুরঝি-বসনের পাঠকপ্রিয় আখ্যানের আবির্ভাব ঘটে ১৯৪৩ সালে। নিতাইয়ের মতো অসংখ্য চরিত্র বিরাজমান তারাশঙ্করের জগতে।
নিম্নবর্গের নিতাই চরণের কবিয়াল হয়ে ওঠার, প্রণয়-আবেগের অতল-অনিশ্চয়তার চিত্তাকর্ষক কাহিনির নাম ‘কবি’। রাজনীতি-নিরপেক্ষ ব্যক্তি-জীবনের, গোষ্ঠী-জীবনের এবং লোকায়ত-জীবনের অনবদ্য অন্তরঙ্গ শিল্পভাষ্য। লেখক তারাশঙ্কর তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে লিখেছিলেন, ‘সাহিত্যের এই যজ্ঞভূমিতে সারা জীবন যে আহুতি দিয়েছি, তারে কখনো ফাঁকি দিইনি। কখনো ফাঁকি দিইনি নিজেকে। যা সত্য বলে জেনেছি তাই প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। চমক দেবার প্রয়াস পাইনি কখনো। অন্তর দেবতার সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ করিনি।’
তন্নিষ্ঠ পাঠক ঠাকুরঝি-নিতাই পর্বকে রাধা-কৃষ্ণ আর বসন্ত-নিতাই কাহিনিকে চিন্তামণি-বিল্বমঙ্গল মিথের আলোকেও পাঠ করতে পারেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও তারাশঙ্করেই বাংলার গ্রামসমাজের সত্যরূপ দর্শন করেছিলেন। সাহিত্যপ্রেমী মাত্রেরই তাই ‘কবি’র অনন্য গন্তব্যে যাত্রা এক অবশ্যকর্তব্য।
Reviews
There are no reviews yet.