Description
মালতী নামে যুবতী মেয়েটির কথা আমাদের ভেতরে প্রথম উঠে আসে সেই ঘোর পূর্ণিমার পর। সব পূর্ণিমা আহ্লাদিত হয় না। কোনো কোনো পূর্ণিমা বড় দুঃখিত। আবছা আবছা। কালিমাখা। যেন তার চোখের কাজল কাঁদতে কাঁদতে গলে গিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আবার কোনো কোনো পূর্ণিমা আসে চঞ্চল পায়ে। এই এসেছে, এই সে চলে যাবার জন্যে ছটফট করে। মেঘের সঙ্গে সে আড়াআড়ি করে। চুলোচুলি করে। আছাড় খায়। তারপর রাগ করে দাপিয়ে চলে যায় জগৎ কাঁদিয়ে।
কিন্তু সেদিন বড় ফটফটে জোছনা ছিল হে। বড় রাজেশ্বরী সে। আকাশে ছিল না মেঘ। কাজল ছিল না কোথাও। হাত বাড়ালে হাতের ছায়া পড়ে, পাতা নড়লে পাতার ছায়া পড়ে, এমন সে জোছনা। এমন ঘন ক্ষীর জোছনায় আর সব রাত্রির দূর আকাশটা এতই নত হয়ে আসে যে হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে ফেলা যায়, হাতে লেগে যায় আকাশের নীল, আঙুলে পরে নেয়া যায় নক্ষত্রের আঙটি। এমন ভরা জোছনায় মানুষ পথভোলা হয়, নারীর দেহ চন্দনের গন্ধ হয়ে ওঠে, গর্ভস্থলী বীজের জন্যে চম্পকের আঙুল বিস্তার করে, বাঁশবনের চিকন নলীতে নলীতে বাঁশি বেজে ওঠে, ধরার ধূলিতে রুপার চূর্ণ ছড়ায়।
Reviews
There are no reviews yet.