Description
“স্নায়ু দিয়ে চেনা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
আপাতদৃষ্টিতে দুটো মূল নারীসত্তাকে কেন্দ্র করে উপন্যাস এগিয়ে গেছে। হাসপাতালে খুন হওয়া সেতুকে দেখতে গিয়ে নুসরাত দুর্ঘটনার চক্করে পড়ে। তার অদ্ভুত আচ্ছাময় দিনগুলাে ক্রমশ স্থবির আঁধারিয়ার মধ্যে পাক খেতে থাকে। হাতের শােল্ডারটা অকেজো হতে থাকলেও নুসরাত তার আহত হাত নিয়ে নয়, ঘুর খায় তার সত্তায় আরেকটি ছায়ার উপস্থিতি নিয়ে। এদিকে পার্বত্য এলাকায় বাসরত টুনিবেবি পাক খায় তার শৈশবে পাহাড়ি জীবনের নানা স্মৃতির মধ্যে। তার প্রাণপ্রিয় ছােটভাই বুবলুকে মাটিতে ফেলে বাড়ি ছাড়া হয়েছিল সে। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রথমে স্বপ্নময়, পরে শান্তনু—এই দুইজন মানুষের সঙ্গে প্রেমজ সম্পর্কে ডুবজল খেতে খেতে সে চূড়ান্ত মাতাল জীবনের মধ্যে ভাসতে থাকে। নুসরাত অনুভব করে, সে একা নয়, তার আরেকটা সত্তা প্রায়ই তার ওপর ভর করে তাকে এক অসহ্য অনুভূতির মধ্যে ফেলে। টুনিবেবিও অনুভব করে, সে আদৌ কোনাে সম্পূর্ণ সত্তা নয়, সে যেন একটা খােলস। অন্য একটা দেহে সমর্পিত হওয়ার জন্য তার বােধে খাই খাই ক্ষিদে ওঠে। এর মধ্যে কুয়াশার মতাে মিশে থাকে নুসরাত আর টুনিবেবির জন্ম সময়। দুজন দু মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েও যমজবােধে আক্রান্ত হয়ে থাকে। জহির ক্যানভাস উদোম করে। দুটি সত্তা সেখানে একাত্ম হয়ে বাঁচার স্বপ্নে একীভূত হতে থাকে।





Reviews
There are no reviews yet.