Description
গ্রীষ্মের দাবদাহ আর অন্তরের পোড়া অনল প্রায় একইরকম। ছাতিম গাছটা যেন এবাড়ির সব অন্যায়ের সাক্ষী। পত্ররাজির শীতলতার ছায়ায় মুঠোবন্দী করতে সচেষ্ট যেন পিতা পুত্রের সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এক মা যেন তার মমতায় সাজানো সংসারে ফিরে আসে।গাছগুলোর সাথে শুভসম্ভাষণ বিনিময় শেষ হলে তিনতলার নিজস্ব ভুবনে প্রবেশ করে চন্দন। গোসল সেরে জলপাই সবুজ শর্টস আর ছাই রঙ্গা কেলভিন ক্লেইন টিশার্ট পরে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। দাঁড়ি কাটতে গিয়ে চিবুকে সামান্য কেটেছে। আফটারশেভটা ধরল খুব।
“জ্বলছে ? বোরোলিন লাগাতে পারো।”
ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল কেউ নেই। কেউ থাকবার কথাও নয়। পুরো বাড়িতে আনিস চৌধুরী আর সে ছাড়া তিনজন সাহায্যকারী রয়েছে। সবাই পুরুষ। নারী স্পর্শবিবর্জিত এবাড়িতে নারীকন্ঠ কোত্থেকে? বৃতিকে দেখার পর থেকেই এমন বিভ্রম হচ্ছে।
চন্দন আঘাত পেয়েছে জানলে মমতাময়ী মেয়েটার স্নেহের পরশ একবার হলেও পাওয়া যেতো। অথবা চন্দন জোর করে আদায় করে নিত।
কী এক আলগা কাঠিন্য দেখাল বৃতি ! অভিনয় করে তাকে চিনতে অস্বীকার করল। কারণটা কী ?
নানা রঙের মিশেলে জীবন্ত কয়েকটি শক্তিশালী চরিত্র আর অপ্রতিরোধ্য গল্পের টান যতটা মুগ্ধ করে, ততটাই ভাবায়। ‘হয়তো প্রেমেরই জন্য’ প্রেমের গল্প হলেও আসলে জীবনেরই গল্প।





Reviews
There are no reviews yet.