Description
অনেকগুলো বক্সের মাঝে নামহীন রঙিন বক্স দুটির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে নবনী। মনের মাঝে চাপা উত্তেজনা নিয়ে প্রথম বক্সটি খুলতেই লাভ শেপের ছোট্ট একটা কেক দেখতে পায়, যেখানে লেখা, “Happy Birthday To You My SENORITA.” লেখাটা পড়েই বুকের ভেতর কম্পন সৃষ্টি হয় তার। অস্পষ্টস্বরে মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, “রুদ্র!”
সে এবার দ্বিতীয়টা খুলে, সেটাতে একটা কাপল শো-পিস আর হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘নির্বাসন’ বইটি পায়। বই পেয়ে ভীষণ অবাক হয়েছে, কারণ সে যতটা না হুমায়ূন ভক্ত, রুদ্র ততটাই বিদ্বেষী! অবশ্য এর কারণটা কী, সে হাজারবার জিজ্ঞেস করেও জানতে পারেনি! প্রতিবারই উত্তরে রুদ্র বলেছিল, “সময় হলে বলবে।” সেই সময়টা বোধ হয় আর কখনোই আসবে না। নবনী নিজেই তো সে পথ বন্ধ করার প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বই আর শো-পিসের সঙ্গে একটা চিঠিও পায় সে। ভাঁজ খুলে পড়তে শুরু করে,
“নবনী,
কী নামে সম্বোধন করব তোমায়? মায়াবতী, হৃদয়হরণী, নাকি নিষ্ঠুর পাষাণী? তোমার পরিবর্তন তিলে তিলে যে আমায় কতটা কষ্ট দিচ্ছে তুমি জানো? তোমায় দেখার এক করুণ অসুখ ধরে বসেছে আমায়। তবে তুমি যে, ওই সুদীর্ঘ কালো মেঘের আড়ালে উঁকি দেওয়া রূপালী চাঁদ; যাকে ছোঁয়ার সাধ্যি আমার নেই! তোমার জন্মদিন আর আমি ভুলে যাব তা কী হয়? সবাই তো শুরুতেই উইশ করে, আমি না হয় সবার শেষেই করলাম। খুব মিস করি তোমায় সেনোরিটা। সব
ছেড়েছুড়ে কি একটাবার আমার কাছে ফিরে আসা যায় না? বুকটা যে বড্ড তৃষ্ণার্ত হয়ে আছে তোমার আলিঙ্গন পাওয়ার জন্য। তৃষ্ণা মেটাবে না সেনোরিটা? আমি অপেক্ষা করব। শত-সহস্র বছরও যদি অপেক্ষা করতে হয়, আমি অপেক্ষা করব সেনোরিটা।
-রুদ্র।”
চিঠিটি বুকে জড়িয়ে নবনী ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। কী করে বলবে সে, তার নিজেরও যে কতটা কষ্ট হচ্ছে। বিরহের অনলে রুদ্র একা নয় সেও যে পুড়ছে প্রতিনিয়ত। ঝাপসা দৃষ্টিতে সে বইটি হাতে তুলে নেয়। ঝুপঝুপিয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়ে সেটার ওপর। বইটি খুলতেই প্রথম পৃষ্ঠায় সাদা জায়গায় রুদ্রর লেখা দেখতে
পায়,
“যদি দাও নির্বাসন,
তবুও ভালোবাসব আমরণ!”
Reviews
There are no reviews yet.