Description
“মায়াবী জোছনার বসন্তে” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
নিশা আসে, নিশা যায়। কীভাবে আসে কীভাবে যায়। তা আমি জানি না। তবে ও আসে, যখনই আমি কামনা করি তখনই আসে। হােক তখন সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা, দুপুর কিংবা মাঝরাত; কখনােই না নেই নিশার। আমার ডাকে সে সাড়া দেবেই। এজন্যই নিশাকে আমার এত ভালাে লাগে, ভালাে লাগে ওর মায়াবী রূপলাবণ্যকে, ভুবনভােলানাে হাসিকে। এক সময় অনুভব করি নিশা আমার জীবনের অনন্য এক প্রশান্তি। তাইতাে আমি সময় অসময় আশ্রয় খুঁজি নিশার মাঝে। সবার অলক্ষে গােপনে চলে যাই ওর কাছে। নিশা আমাকে নিরাশ করে না। পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা আর অসুস্থতার বেড়াজাল থেকে আমাকে মুক্ত করে ও আমার জীবনে নিয়ে আসে পরম প্রশান্তি, জীবনকে করে তােলে সুখী আর আনন্দময়। কিন্তু কেন যেন আশেপাশের কেউই আমার এই সুখ আনন্দকে মেনে নিতে পারে না। কারণ তাদের দৃষ্টিতে নিশা অসম্পূর্ণ, অপূর্ণ, অযােগ্য। আমার আর নিশার সম্পর্কের নাকি কোনাে যৌক্তিকতা নেই, নেই কোনাে বৈধতা। তাইতাে সবাই উঠেপড়ে লাগে নিশার বিরুদ্ধে। নিশাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করে তারা। আর নিশার শূন্যতা আমার দিকে ঠেলে দেয় অপূর্ব সুন্দরী নােভাকে। শুরু হয়। নিশা-নােভার যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকি আমি। এক সময় অনুভব করি যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু কে জয়ী হলাে সেই যুদ্ধে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে আমি অপেক্ষা করতে থাকি মায়াবী জোছনার বসন্তের জন্য। কবে আসবে বহু আকাঙ্ক্ষিত সেই মায়াবী জোছনার বসন্ত?
Reviews
There are no reviews yet.