Description
কয়েকজন মিলে কদম কাঠের দরজাটা ভেঙ্গে ফেলল। আমি ছুটে মায়ের কাছে গেলাম। মায়ের মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে। মা কেমন মোচড়ামুচড়ি করছেন। মুখ দিয়ে গোঙানির আওয়াজ বের হচ্ছে। চোখ বড় বড় হয়ে গেছে। দেখে বুঝতে পারছি মায়ের ভীষন কষ্ট হচ্ছে। মাকে জড়িয়ে আমি চিৎকার করে উঠলাম।’মা কি হয়েছে তোমার? এমন করছ কেন? মা কথা বলো। মা?’মা কথা বললেন না। তার শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে। কয়েকজন এসে মায়ের হাত-পা মালিশ শুরু করল। মাথায় পানি ঢালল। ছুটোছুটি করতে লাগল সবাই।হাত পা কাঁপছে আমার। মাথা ঘুরছে। থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বড় আপাকে ডাকলাম। সেজ আপাকে ডাকলাম। কারো সাড়া শব্দ এলো না। এতক্ষণে খেয়ালে এলো। ঘরের এদিক ওদিক আপারা অগোছালো ভাবে শুয়ে আছে। বড় আপার বুকের ওড়না ঠিক নেই। অথচ আপা কখনো মাথার কাপড় পর্যন্ত ফেলতো না। দৌঁড়ে আপার কাছে গেলাম। আপার মাথায় ওড়না জড়িয়ে দিতে দিতে ডাকলাম। আপা শুনল না। সেজ আপাকে ডাকলাম। আপা প্রত্যুত্তর করল না।হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে দেখলাম, পুতুল বিছানায় শুয়ে আছে। পাশে দুধের বাটি পড়ে আছে। চামচটা পুতুলের হাতে আঁকড়ে ধরা এখনো। ঠোঁটের কোণে ফ্যানার স্তূপ নিয়ে ও চিরনিদ্রায়





Reviews
There are no reviews yet.