Description
শব্দ হিসেবে ‘ফেমিনিজম’ খুব প্রাচীন নয়। ১৮৩৭ সালে ফরাসি দার্শনিক চার্লস ফুরিয়ে এর প্রথম ব্যবহার করেন। ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসে ১৮৭২ সালে, ব্রিটেনে উনিশ শতকের শেষ দশকে এবং আমেরিকায় বিশ শতকের প্রথম দশকে শব্দটির প্রয়োগ হতে দেখি। এটি কালে কালে একটি সর্বাত্মক আন্দোলনের সমার্থক হয়ে ওঠে। উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের শুরুর দিকে নারীদের ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলনের মাধ্যমে নারীবাদী আন্দোলনের প্রথম ধাপটি শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৬০-এর দিকে তা আইনি ও সামাজিক সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলনের সামগ্রিক অসাফল্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯৯০-এর দিকে নারীবাদী আন্দোলনের তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়। এ ইতিহাসের বিপরীতে ভিন্ন ইতিহাস হলো, নারীবাদী আন্দোলনের ঢের আগে থেকেই নারীরা বিচ্ছিন্নভাবে নিজেদের কথা বলতে শুরু করেছিলেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজকাঠামোর অন্তর্গত হয়েই। আফরা বেহন, ব্রন্টি সিস্টার্স, জেন অস্টেন, অরু দত্ত, তরু দত্ত, বেগম রোকেয়ারা তো এই সেদিনের। যিশুখ্রিষ্টের জন্মেরও সোয়া দু’হাজার বছর আগে এনহেদুয়ান্না দেবী ইয়ান্নার প্রশস্তিগীতির আড়ালে নিজের জীবনকথা লিখেছিলেন। বেদ ও পুরাণ সচিৎকার ঘোষণা করেছিল, ‘No good may come to a woman।’ তাই বলে নারীকণ্ঠ থেমে থাকেনি। ব্রাহ্মণ্যবাদের চাপে নারীরা নীরব থাকতে বাধ্য হলেও বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশের সাথে সাথে নারীর কণ্ঠমুক্তি ঘটতে থাকে। ভগবান বুদ্ধের সমসাময়িক এক সাধিকা মুক্তা লিখেছেন
Reviews
There are no reviews yet.