Description
সেই দুপুরটাও এমনই ছিল। সাদা সাদা অজস্র বরফবিন্দুতে ভরে উঠেছিল রাজধানী। তুষারাবৃত আকাশটা চুর্ণ বিচূর্ণ হয়ে ঝরে পড়ছিল সুবিশাল মহাসড়কে। দোচালা বাড়ির ছাদে। গাড়ির পিঠে। চারিদিকে নিষ্কলুষ শুভ্র তুহিনের ঘেরাটোপ। দেখে মনে হয় মশারীর জাল। বড় বড় তুষার দানা মুখে এসে বিঁধছে, ভাঙছে, মিশে যাচ্ছে! পৃথিবীটা ক্রমেই সাদা রঙের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। সেই আদিগন্ত সাদায় ডুব দিয়ে শাহজিদ রাস্তার ধার ঘেঁষে ধীরে ধীরে হাঁটতে লাগল।
তার ভেতরটা তখন অদ্ভুত রকমের অবশ। কষ্ট নেই, যন্ত্রণা নেই…আছে শুধু দুকূল ছাপানো হুহু শূন্যতা। বুক মথিত হয়ে উঠে আসছে রক্তাক্ত দীর্ঘশ্বাস। বাতাস ফিসফিস করে বলছে, কেউ নেই… কেউ নেই! তুমি একা..
তুমি ভীষণ একা! হঠাৎ তুষার ঝড়ের সাদা তাণ্ডবের মধ্যে, দূরের রকি মাউন্টেনের রুপালি বরফের মুকুট পরা সর্বোচ্চ শিখরখানি আয়নার মতো ঝলসে উঠল চোখের সামনে।
অমর্ত্য সুন্দর সেই টুকরো দৃশ্যখানি শাহজিদের মনে এক পুলকসমৃদ্ধ আচানক শিহরণের উদ্রেক করল। মনে হলো রূপবতী সেই পাহাড় বরফকুচির সাদা খামে করে তার জন্য পাঠিয়েছে ছুটির আমন্ত্রণপত্র! পাহাড় ডাকছে … হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাকে!





Reviews
There are no reviews yet.