Description
অনেক দিন ধরে হজে যাবার দারুণ ইচ্ছা মনের মধ্যে পুষে রেখেছিলাম। যেমনটা প্রত্যেক মুসলমানের থাকে। কিন্তু এটা-ওটার কারণে ঠিক যাওয়া হচ্ছিল না। গত বছর ঠিক করে ফেললাম, যেমন করেই হােক আগামীবার যাব (২০১৪ সাল) ইনশাল্লাহ্। যদি আল্লাহ্ পাক আমার ইচ্ছা কবুল করেন। সেভাবেই প্রস্তুতি চলছিল। বেশ কিছু বইপত্র কিনে পড়াশােনা করতে হলাে। অনেক কিছুই তাে জানি না। পরিচিত কাউকে মনে মনে খুঁজছিলাম যে একসাথে যাবার জন্য। আমার এক স্কুলবন্ধু ডাক্তার, ও যেতে চাইল । কিন্তু শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে যাওয়া হয় নাই। পরে আমার স্ত্রী ও ছােট ছেলে সঙ্গী হলাে। ওয়াইফ ইদানীং বেশ অসুস্থ থাকত। তাই তাকে নেয়ার কথা খুব একটা ভাবি নাই। হজের আরকানআহকামগুলাে বেশ শক্ত বা পরিশ্রমের। শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ না থাকলে সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা কঠিন। শেষে সে যাবার জন্য মন স্থির করে ফেলল। তার সাহায্যকারী হিসেবে ছােট ছেলেকে সাথে নিতে হলাে । অবশ্য ওর খুব ইন্টারেস্ট ছিল ধর্মীয় এ ব্যাপারে। হজে যাবার পর এ অনুভূতি ও সার্বিক অভিজ্ঞতা লিখে ফেলতে খুব ইচ্ছে করল। সেই ইচ্ছেকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এই ক্ষুদ্র প্রয়াশ। পরিচিত দু-একজনও একটু ইন্ধন জোগাল। পাঠকদের পড়ে যদি একটু ভালাে লাগে, তাহলেই এ চেষ্টার সার্থকতা খুঁজে পাব। আজকাল বিজ্ঞানের আর্শীবাদে হজ পালন করা অনেক সহজ হয়ে গেছে । রাসুলল্লাহ্ (সাঃ) বলেছিলেন, “যে হজ করবে তার তাে শরীরে ধুলাবালি ও মাথার চুল উস্কশুস্ক থাকবে। আজকাল তেমন পরিস্থিতি আর নাই । বেশ কিছু অব্যস্থাপনা থাকলেও সৌদি সরকার সারা পৃথিবী থেকে আসা ভিন্ন সংস্কৃতির লাখ লাখ লােকের যে ব্যবস্থাপনা করছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাবার যােগ্য। যেমনভাবে সব কিছু উন্নত করছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে হাজীদের আরও অনেক কষ্ট লাঘব হয়ে যাবে। হজ আদায় করা সহজ হয়ে যাবে।
Reviews
There are no reviews yet.