Description
দরজাটা খোলা। ঘরের ভেতর সবকিছু এলোমেলো। শুধু ডায়েরীটা উধাও। বুকটা ধক করে উঠলো তাহেরের। গত রাতে সে বাড়িতে ছিল না। পুলিশের ভয়ে সে প্রতিবেশী চাচী নবিতুনের ডেরায় ঘুমিয়েছে। এসে নিজের ঘরে ঢুকেই তাজ্জব। কারা ঢুকেছিল? তাদের প্রয়োজনই বা ছিল কি?
ভাবনার অতলে ডুবে যায় তাহের। হিসাব মেলাতে লাগলো সে। চোর-ডাকাত এলে শুধু ডায়েরী নেবে কেন? আরো তো মূল্যবান জিনিস ছিল! কিন্তু সেগুলো অক্ষত। চোর- ডাকাত না হলে আর কে হতে পারে? মজদুর পার্টির বিশ্বাসঘাতক কমান্ডার রাসেলের অনুগত গেরিলারা নয়তো? তাহেরের রক্ত হীম হয়ে আসে। কেন এসেছিল তারা? তাহেরের জ্ঞান সাক্ষ্য দিতে লাগলো তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গেরিলারাই এসেছিল। সে বুঝতে পারে রিনির কাছে তার চিঠি লিখার কথা দলের কমান্ডার রাসেল জেনে গেছে।
আরো একটি বিষয় ভেবে সে শংকিত হয়ে উঠে। কমরেড আরিফ হত্যাকাণ্ডের রাতে তার ডায়েরী গায়েব হলো কেন? তবে কি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ডায়েরীর কোনো সম্পর্ক আছে? পূর্বরাতে কমান্ডার রাসেলের নির্দেশে কমরেড আরিফকে হত্যা করা হয়। তাহের এ হত্যা পরিকল্পনা তার ডায়েরীতে লিখে রেখেছে। কমরেড আরিফ হত্যাকাণ্ডের দায়দায়িত্ব কমান্ডার রাসেলের একার। তাহেরের দোষ হলো এতটুকু সে জানতো। এ জানার পরিণাম বড়জোর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তার বেশি কিছু নয়।
Reviews
There are no reviews yet.