Description
নিশ্চল আগস্টের এক সন্ধ্যায় নির্ধারিত সময়ের দু’ সপ্তাহ আগে অসীমা গাঙ্গুলী সেন্ট্রাল স্কয়ার এ্যাপার্টমেন্টের কিচেনে দাঁড়িয়েছিলো। সে রাইস ক্রিসপাইস, প্লান্টার্স
চিনাবাদাম, আর কুচো করা লাল পেঁয়াজ একটি গামলায় মেশাচ্ছিলো। সে তাতে দিলো লবণ, লেবুর রস, কাঁচা মরিচ কুচি কুচি কাটা। ভাবছিলো, এইটুকু শেষ হলে
সে তাতে সরষের তেল মেশাবে। অসীমা এই পথ্যটি তার গর্ভাবস্থার পুরো সময় ধরেই খাচ্ছে। কয়েক পেনিতে এসব জিনিস কোলকাতার রাস্তার ধারে কিংবা সারা
ভারতের রেলওয়ে প্লাটফর্মে পাওয়া যায়। পত্রিকায় ঢোঙায় এগুলি দেয়া হয়।
এখন এমনকি সামান্য একটু জায়গাই তার চারদিকে আছে, তবু সে ওই জিনসটিই আকুলভাবে কামনা করছে। হাতের তালুতে একটু নিয়ে সে মুখে দিলো। তারপর মুখ
কোচকালো। স্বাভাবিকভাবে যা হয়, নিশ্চয়ই কিছু বাকী রয়ে গেছে। কিছু একটা মেশানো হয়নি। তার পেছনে দূরে সে পেগবোর্ডের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে
উদ্দেশ্যহীনভাবে তাকালো।
পেগবোর্ডটি রাখা আছে দূরে। ওখানে তার রান্না করা জিনিসপত্রের বাসনকোসন থাকে। শাড়ীর আঁচলের ঝুলন্ত প্রান্ত দিয়ে সে তার
চেহারার ঘাম মুছলো। তার পা ব্যাথা করছিলো, শিশুর ওজন বাড়ার শুরু থেকেই
তার শ্রোণী ব্যাথা করছে। সে একটা আলমারী খুললো।
Reviews
There are no reviews yet.