Description
ফি জোগাড় হয়নি বলে এফএ পরীক্ষায় বসতে পারেননি তিনি। পাঠকপ্রিয় তাঁকেই সম্মানিত করে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জগত্তারিণী স্বর্ণপদকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূষিত করে ‘ডি-লিট’ উপাধিতে। সাহিত্যকর্মে আজও তিনি অপরাজেয়, জনপ্রিয়তায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। যাঁকে ড. সুকুমার সেন বলেছেনÑ বাংলা ভাষায় সর্বাধিক যশস্বী লেখক। সেই শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়েরই অবিনশ্বর কীর্তি দেবদাস।
গ্রন্থাকারে যার আবির্ভাব ১৯১৭ সালে। দিনে দিনে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য এক অংশ হয়ে উঠেছে যে উপন্যাস।
পরিণত হয়েছে বিরহকাতর চিরায়ত প্রেমিকের ধ্রুপদী উদাহরণে। দেবদাসই শরতের একমাত্র নায়ককেন্দ্রিক উপন্যাস। বন্ধু প্রমথনাথ ভট্টাচার্যকে লিখেছেন, ‘ওই বইটা একেবারে মাতাল হইয়া বোতল খাইয়া লেখা।’ যে আখ্যান বিস্তৃত গ্রাম ও শহর, পুরুষ ও নারী, প্রেম ও বিরহ, শৈশব ও যৌবন, পথ ও গৃহ- এমন সকল জোড়ে।
প্রথম যৌবনে লেখা দেবদাস-এর যে আখ্যানকে ১৭টি বছর ফেলে রেখেছিলেন শরৎবাবু তা শতবর্ষ পরে ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রধান ভাষায় অনূদিত, বহুল পঠিত। পার্বতী-চন্দ্রমুখী এবং দেবদাসের সঙ্গে শুধু পাঠকেরই নয়, দর্শকেরও তাই যুগে যুগে বারে বারে দেখা হয়েছে, হচ্ছে, হবে বড় পর্দায়, প্রেক্ষাগৃহের আলো-আঁধারে।
Reviews
There are no reviews yet.