Description
“তিন গোয়েন্দা ভলিউম – ১৯”বইটির প্রথমের কিছু অংশ:
সকালের রােদে গুঞ্জন তুলে উড়ে চলেছে সেসনা। ছােট্ট বিমানটার নিচে ছড়িয়ে রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সিয়েরা নেভাডা রেঞ্জের পাহাড়ী অঞ্চল। সবুজ পাইন বনের ভেতর থেকে মাথা তুলেছে অসংখ্য লাল পাহাড়ের চূড়া। | ককপিটের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল।
রবিন। চোখে বিনােকিউলার। পাশে পাইলটের সীটে বসে তার বাবা রােজার মিলফোর্ড। সিঙ্গল-ইঞ্জিন টার্বোপ্রপেলার বিমানটাকে স্বচ্ছন্দে উড়িয়ে নিয়ে চলেছেন এ্যানিটের পাহাড় আর পান্না-সবুজ উপত্যকার ওপর দিয়ে।
‘নিচে ওটা কি?’ রবিন বলল। ওই তৃণভূমিটার ওপারে। দেখতে পাচ্ছ?’
কিশােরকে কনুইয়ের গুতাে মেরে চোখ টিপল মুসা। রবিন আর তার বাবার পেছনে প্যাসেঞ্জার সীটে বসে দুজনে। ওরাও তাকিয়ে নিচে। তবে খালি চোখে সব কিছু ভাল দেখা যাচ্ছে না বলে পালা করে বিনােকিউলারটা নিয়ে দেখছে। নিচে একের পর পার হয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের চূড়া। | ‘কি আর, মুসা বলল রবিনকে। মেয়েটেয়ে হবে। সুন্দরী। তােমার মুখটা দেখতে পেলেই হাত নাড়বে।’
এবং পরক্ষণেই ফোন নম্বর চাইবে,’ হেসে যোেগ করল কিশাের। ‘জিজ্ঞেস করবে,’মুসা বলল, আজকে সন্ধেয় তােমার কোন কাজ আছে কি।
আঙ্কেল,’ মিস্টার মিলফোর্ডকে জিজ্ঞেস করল কিশাের, ডায়মণ্ড লেকে সিনেমা হল আছে?’ শান্ত, নিরীহ ভঙ্গি। সন্ধ্যায় রবিনকে তাে আর পাব না।। মুসার আর আমার সময় কাটাতে হবে।’ | শব্দ করে হাসলেন মিলফোর্ড।
চোখ থেকে দূরবীন সরাল রবিন। মেয়েটেয়ে কিছু না, ওটা কুগার।’ ফিরে তাকাল দুই বন্ধুর দিকে। সুন্দর চেহারা, সােনালি ঘন চুল, কালচে নীল চোখ, আর। আকর্ষণীয় হাসি। যেখানেই যায়, কোথা থেকে যেন এসে উদয় হয় মেয়েরা পিছে লাগে তার। টিটকারি তাে খুব মারলে আমাকে। আমি কি একা নাকি?
আর কে?’ ভুরু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করল মুসা। | ‘কেন, কমিক গার্লকে ভুলে গেলে? মিরিনা জরডান? ও আমার পিছে লেগেছিল?
কিশােরের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠল মুসা। কিশাের মিয়া, এইবার তােমাকে
পেয়েছে…’
Reviews
There are no reviews yet.