Description
একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকায় তাদেরকে অনেকে ঘৃণা করেন, ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু কেন? মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার পেছনে জামায়াতের কি কোনো যুক্তি নেই? জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ভাসাভাসা দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধকে দেখেছে। অন্যদিকে, জামায়াত দেখেছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে। সাতচল্লিশে এ জাতি হিন্দু ভারতের সঙ্গে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এ দেশের জনগণ সাতচল্লিশের স্বাধীনতাকে মেনে নিলেও প্রতিবেশি ভারত মেনে নেয়নি। ভারত সাতচল্লিশের স্বাধীনতাকে বাঞ্ছাল করে দেয়ার জন্য সুযোগের অপেক্ষা করেছে। একাত্তরে তারা ইন্সিত সুযোগ পেয়ে যায়। পাকিস্তান বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান ছিল ভারতের পূবাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। ভারত তার সাত রাজ্যের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার জন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু ভারতের স্বার্থ ছিল ষোল আনা। ভারতের অভিসন্ধি বুঝতে পেরে জামায়াত একাত্তর থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হলে ভারতে আশ্রয় নিতে হতো। জামায়াতের পক্ষে ভারতে আশ্রয় নেয়া সম্ভব ছিল না। একটি মুসলিম দেশ ভেঙ্গে দিতে হিন্দু দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণে তাদের বিবেক সায় দেয়নি। ভারতে আশ্রয় নিলেও তাদের পরিণতি হতো মাওলানা ভাসানী এবং মশিয়ুর রহমান জাদু মিয়ার মতো। এ দুজন জাতীয় নেতাসহ অসংখ্য বামপন্থী কর্মীর্কে ভারতে হয়তো আটক করা হয় নয়তো দেশে ফেরত পাঠানো হয়। জামায়াত সমর্থকদের ভাগ্য তাদের থেকে ভিন্নতর কিছু হতো না।
Reviews
There are no reviews yet.