Description
“জলময়ূর” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
জলময়ুর উপন্যাসটি ১৯৮৯ সালের পটভূমিতে লেখা হয়েছে। উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র দবীর বিশ্বাস। ধবধবে ফর্সা, তালগাছের মতাে লম্বা শরীরের এই মানুষটাকে আমি। আমার সামনে থেকে দেখেছি, জেনেছি। চুরানব্বই বছরের দবীর বিশ্বাস এখনাে মাঝ রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে ছেলের বৌ, বাড়ির কাজের লােককে দিয়ে এটা-সেটা রাঁধিয়ে নেন। বছর তিনেক আগে তিনি গােটা একখানা গরু জবাই দিয়েছিলেন মধ্যরাতে। তার এমন খায়েশের গল্পের অন্ত নেই। একজন দবীর বিশ্বাসকে গােটা উপন্যাসে কখনাে আসলামের বাবা, কখনাে নিন্তী, বিন্তীর দাদার চরিত্রে দেখলেও শেষাংশে দেখা যাবে নির্বাসিত সম্রাট কীভাবে নিজেকে উৎসর্গ করে জলময়ূর হয়ে ওঠেন। না-ছেলে, না-মেয়ে স্বভাবের সিরাজের রূপ বদল, তীক্ষ্ণ বুদ্ধির দবীর বিশ্বাসের শেষ চালে হতভম্ব হওয়া আরতী কিংবা হাসনা আজন্মের বুকে ব্যথা নিয়ে নির্বাক তাকিয়ে রয় বিশ্বাস বাড়ির দিকে। আর আসলাম? সে তাে পদ্মপাতায় মরে থাকা বুড়াে থুথুরে জলময়ূরকে দেখে গুঙিয়ে কেঁদে ওঠে।
Reviews
There are no reviews yet.