Description
চাঁদনীমুখা গ্রামটা গাবুয়া ইউনিয়নের শেষ মাথায়। গ্রামের পর খোলপেটুয়া নদী। তারপর, সুন্দরবন
এই খোলপেটুয়া বনের ভেতর দিয়ে দক্ষিণে-কিছুদূর এগিয়ে নাম নিয়েছে-আড়পাঙাসিয়া। সেখান থেকে মাত্রই ফিরে আসা জেলে দলটাকে ঘিরে জটলা পাকিয়েছে খেয়াঘাটের লোকজন।
জটলার কারণ-ছক মিয়া। লোকে ডাকে, ছকু পাইলট। ইঞ্জিনের নৌকা চালায়। সুন্দরবনের এমন সব জায়গায় পৌছায় তার নৌকা, যেখানে অন্যদের তেমন যাতায়াত নেই।
ভয়-ডর কী জিনিস, ছকু মিয়া জানে না। অন্তত, গ্রামের মানুষ এমনটাই মানে।
সেই ছকুই নাকি ফিরে এসেছে অন্যের নৌকায় চেপে। সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত। গভীর আঁচড়ের দাগ, কামড়ের দাগ-কাঁধে, পিঠে আর বুকের ওপর।
জমির মাঝি ঝুঁকে বসেন ছকুর কাছে। টিনের মগ ভর্তি পানি এগিয়ে দেন। মৃদুস্বরে ডাকেন, ‘ছকু, ও ছকু, শুনতি পাচ্ছিস, বাবা?’
ছকু পাইলট কোনো জবাব দেয় না। শুধু আনমনে মাথা দোলায়। বিড়বিড় করে কী যেন বলে। বোঝা যায় না।
‘পানি খাবি?’, আবার প্রশ্ন করেন জমির মাঝি।
এবার ছকু ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশে তাকায়। ফ্যালফ্যাল করে। ডান হাতের তর্জনী উচিয়ে
কী যেন বলতে গিয়ে থমকে যায় আবার। বারবার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে মুখে। কিছু কিছু শব্দ বোঝা যায় কেবল।
ছকুর দিকে আরও ঝুঁকে আসেন জমির মাঝি।
হালকা স্বরে শুনতে পান কথাগুলো।
“বনের জিনিস বনে ফেরত গেছে। বাঁদাবন তার বলি নিছে।”
Reviews
There are no reviews yet.