Description
“একরাত্রি” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
রাত গভীর হয়েছে। নীলুর থাকার ঘরের জানালা দিয়ে চাঁদের আলাে বিছানার ওপর আছড়ে পড়েছে। সঙ্গে মৃদুমন্দ বাতাসের হালকা পরশ। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে তাহসান সৃষ্টিকর্তার এই দানটুকু নয়নভরে দেখতে পেল। এমন সময় নীলু জ্বলন্ত মােমবাতি হাতে নিয়ে রুমে ঢুকল। এখন জোছনার আলােয় প্রদীপের মতাে নিবু নিবু মােমবাতির আলো নিতান্তই ম্লান হয়ে গেল। জোছনার আলাের সঙ্গে তাহসান তার মনের আলাে মিশিয়ে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে, নীলু প্রতিমার মতাে গভীর মায়াভরা কালাে চোখে তার দিকে চেয়ে আছে। হাসনাহেনার পাগল করা সুবাস আবার বইতে শুরু করেছে। জোছনার আলাে, হেনা ফুলের সুবাস আর নীলুর মায়াভরা মুখখানি একসঙ্গে মিশে গিয়ে এই নির্জন কক্ষটি আজ যেন স্বপ্নরাজ্যেরই একটুকরা অংশ হয়ে গেল। তাহসান মনে মনে ভাবে, এই মধুময় পরিবেশে নীলুর মতাে একজন মানবীর সঙ্গে একই কক্ষে হাজার বছর কাটিয়ে দেওয়া যায়। কে জানে কিসের টানে, কিসের মােহে দুটি প্রাণ আজ এত পাশাপাশি, কাছাকাছি চলে এসেছে! তাহসানের রঙিন ভাবনা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলাে না। কোত্থেকে যেন দমকা হাওয়ায় ভেসে একখণ্ড চাপা কষ্ট এসে তার মনটাকে উদাস করে দিল। বারবার তাহসানের মনে হলাে, এখানে সে এক রাতের অতিথি ছাড়া আর কিছুই না।
Reviews
There are no reviews yet.