Description
কিছু বুঝে ওঠার আগেই খুব কাছ থেকে ভয়ঙ্কর স্বরে একটা বিশ্রী হাসির বিকট শব্দ শোনা গেল। সাকিল আঁৎকে উঠল, ওরা মনে হয় চলে এসেছে।
বর্ণ অতিদ্রুত ‘পাহাড়ি দা’-টা হাতে নিলো। না, এটা কোনো মানুষের হাসি নয় হায়েনা কিংবা খাটাস্ জাতীয় হিংস্র প্রাণীর আওয়াজ। দৌড় দাও। দৌড়।
প্রায় এক ঘণ্টার পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথ। হাতে-পায়ে কাঁটাগাছের আঁচড় খেয়ে অবশেষে সবাই মিলে পৌঁছালো উপত্যকার মত একটা জায়গায়। রিমঝিম হাঁপিয়ে গিয়ে বল্টুকে হাত থেকে নামিয়ে দিল। মাটিতে নেমেই একটু দূরে সরে গেল বল্টু। ঘোঁ-ঘোঁ শব্দ করে আকাশের দিকে তাকাতে লাগল বারবার। সম্ভবত আবারও নতুন কোনো বিপদের ইংগিত বুঝতে পারছে সে। বর্ণ হাসল।
শুরুতেই বলেছিলাম, বল্টু বেড়াল নয়। বাঘের বাচ্চা।
ছোট হলে হবে কী, শরীরে শক্তি ও ইন্ট্যুইশন দু’টোই আছে ঠিক! এমন সময় আঙুল দিয়ে দূর আকাশের দিকে কী যেন দেখাতে লাগলো জংলি দলের একটা বাচ্চা-মেয়ে।
হাসিব উত্তেজিত হয়ে উঠল। ইয়েস, উই গট ইট। অতি দ্রুত দার্জিলিংয়ের মাউন্টেরিং ব্যাগ থেকে এয়ারটাইট জ্যাকেট আর গুহা থেকে চুরি করে আনা সালফিউরিক এসিডের বোতলটা দে তো।
Reviews
There are no reviews yet.