Description
এক গােপন গবেষণায় প্রফেসর কিম নিসিলিন আবিষ্কার করেন নিসিলিনের মূল কাজ মানুষের বয়স কমিয়ে পঁচিশ-ত্রিশে স্থির করা এবং মানুষকে অমর করা। শিম্পাঞ্জির ওপর নিসিলিন প্রয়ােগে চমৎকার ফল পান প্রফেসর কিম। এরপর তিনি নিজের শরীরেই প্রয়ােগ করেন নিসিলিন। ধীরে ধীরে বয়স কমতে থাকে তার। ষাট থেকে পঞ্চাশ, চলিশ, ত্রিশ কমতেই থাকে। অবশ্য এক সময় বুঝতে পারেন নিসিলিন মানুষকে অমর করতে পারলেও মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেবে। তাই তিনি নিসিলিন তৈরি না-করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ততক্ষণে গবেষণায় সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান জেনে গেছে নিসিলিনের সাফল্যের কথা। ঐ প্রতিষ্ঠান ইসান নামক এক ভয়ংকর মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে চাপ দিতে থাকে প্রফেসর কিমকে নিসিলিনের ফরমুলা দেওয়ার জন্য। কিন্তু রাজি হন না তিনি। পালিয়ে বেড়াতে থাকেন শহরের মধ্যে। ইসান ছাড়ার পাত্র নয়। নানাভাবে প্রফেসর কিম বেশ কিছুদিন পালিয়ে থাকতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। আটক হন ইসানের জালে। তাকে এখন নিসিলিনের ফরমুলা দিতে হবে, না হলে নিশ্চিত মৃত্যু। শুরু হয় প্রফেসর কিমের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। মুক্তির জন্য পাগল হয়ে ওঠেন প্রফেসর কিম। কিন্তু কে উদ্ধার করবে তাকে? কেউ যে নেই। অবশেষে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রাজি হন নিসিলিন তৈরিতে। নিসিলিন কি সত্যি ধ্বংস করে ফেলেছিল মানব সভ্যতাকে? পৃথিবীর মানুষেরা কি সত্যি অমরত্ব লাভ করেছিল? আর কী ঘটেছিল প্রফেসর কিমের ভাগ্যে?





Reviews
There are no reviews yet.