Description
অগত্যা এক রমণীর স্নানঘরে এক খয়েরি ডানার শালিক উড়ে এলে সে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়া আকাশকে চুলের বেণিতে বেঁধে ফেলে ভূগর্ভে পৌঁছে গেল ডুবসাঁতারে। পাহাড়, নদী, জোছনার দেশে দুই নর-নারী নিশ্বাসে রোদ মেখে মেঘময় বিশ্বাস নিয়ে বাতাসের দিনে দেখে আঁধারের ফুঁয়ে নিভে গেল সবুজ দীপের আগুন। পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর আর খরস্রোতা নদী উল্লম্ফনে পেরিয়ে যায় দুজন বিস্মরণীয় মানুষ-আকাশের আলোয়ানে জল-কাদা ছিটিয়ে। নগরের প্রজ্ঞাবান দাঁড়কাক অবিরত খুঁজে চলে নতুন ভাগাড়, এক ভূয়োদর্শী বিড়াল পৃথিবীর কেন্দ্রগামী পথ খুঁজে যায় দূর দ্বীপের কারও টেলিগ্রামের অপেক্ষায় থেকে। কারও সবাক সবুজ চুল জড়িয়ে যায় গিটারের অবাক ছয় তারে। ৪৫৯ নাকি ৪৯ বার? রাতের পুনরাবর্তনে কতবার জেগে ওঠে একই আঁধার একই মেঘ ফুঁড়ে? কতবার ঝরে পড়ে আঙুরের মতো স্মৃতি কারও চোখ থেকে কফির মগের ধোঁয়ার ঘূর্ণিতে? সাগরপারে রাতের উইন্ডশিল্ডে ভেসে ওঠে কার ছবি? কোন মানবীর ডাকে ছুটে আসে এক ধূসর-কালো নেকড়ে তিন মাথাওয়ালা মানুষ পিঠে নিয়ে? সিগারেটের শীতল ধোঁয়া পেরিয়ে ভেসে আসে মহানায়কের কণ্ঠস্বর, প্রহরীর চোখে কাচহীন দূরবীন। পাতার শিরশির শব্দে সবুজ ঘুমে ঢলে পড়ে পৃথিবীর বৃক্ষ, তবু ঢেউয়ের তোড়ে পুড়ে যায় মেঘ, উড়ে যায় ঘুম। আজীবন হামাগুড়ি, নিষ্ফল প্রতীক্ষা, অর্গলিত দরজায় পা হড়কে পড়া। তীক্ষ্ন চিৎকারে ঘুমের সুরভি; তবুও চোখ খুলে দেখি- আকাশবারান্দায় বজ্রপাখি!
Reviews
There are no reviews yet.