Description
মানুষ চেনা যায় নানাভাবে- ভাষা, লিঙ্গ, গায়ের রং, ধর্ম, শ্রেণি, পেশা, বৈবাহিক মর্যাদা, এমনকি খাদ্যাভ্যাস দিয়েও। ‘গোরা’, মানুষের আত্মানুসন্ধানের এক অসামান্য মহাকাব্যিক আখ্যান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিচিত্র সৃষ্টিশীলতার গভীর অভিব্যক্তি। তাঁর বৃহত্তম এবং পঞ্চম উপন্যাস। যেখানে মানুষকেই তিনি ধর্মের ওপরে স্থান দিয়েছেন বারবার, মানবতাবাদকে সর্বজনীন হওয়ার জানিয়েছেন আহ্বান।
ব্রিটিশ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির কলকাতা। সংঘাতময় এক দুঃসময়ের পটভূমিতে রচিত হয় ‘গোরা’। ধারাবাহিকভাবে প্রথম প্রকাশ প্রবাসী পত্রিকায়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পটভূমিতে সংঘটিত ঘটনাবলি, ব্যক্তিজীবন-অভিজ্ঞতার রূপান্তর, সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদী চিন্তার বিপরীতে সর্বজাতিক মানববোধে আস্থা রবীন্দ্রনাথের প্রেরণা হিসেবে এ উপন্যাসে ক্রিয়াশীল।
মহামিলনের সুর ঝঙ্কৃত রবীন্দ্রচৈতন্যের সমগ্রতাস্পর্শী শিল্পীসত্তা ব্রাহ্মণ্যবাদের কঠোর শৃঙ্খল, নবজাগৃতির অনিবার্য আবহ তুলে এনেছেন নিজের বৃহত্তম এ উপন্যাসে। বাংলা সাহিত্যের ব্যাপক বলয়ে ‘গোরা’র প্রভাব যুগান্তকারী। ‘গোরা’ উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ বাঙালি ও ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে বিশ্বসংস্কৃতির শুভচেতনার সমন্বয়
ঘটিয়েছেন।
Reviews
There are no reviews yet.