Description
প্রেমজোয়ারে অগণিতবার মুখডোবা গলাতে হাত জড়িয়ে, চোখে চোখ রেখে প্রেমোচ্ছ্বল গলায় মুশরাফা বলল, “যেভাবে ভালোবাসি বলে আগলে নিয়েছিলেন, সেভাবে তালাকও বলে নিষিদ্ধ হয়ে যান। কথা দিচ্ছি, বিচ্ছেদ হলে আপনার ছায়াতেও ছায়া মাড়াব না। কখনো দেখা হলে ঘোমটা টেনে পাশ কাটব, এই চোখের দিকে ফিরেও তাকাব না। পারবেন নিজেকে আমার জন্য নিষিদ্ধ করতে? পরপুরুষে নির্বাসিত হয়ে আমার পর্দা সইবার ক্ষমতা থাকলে নির্দ্বিধায় তিনবার বলুন, তিন অক্ষরের তিন শব্দ।”
এভাবে কেউ তালাক চায়? জাওয়াদ স্তব্ধ হয়ে গেল। শ্বাস নিতে ভুলে গেল। বুকে তোলপাড় চলছে। অন্তরাত্মা বহিরাত্মায় কম্পন ধরেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছে ছেলেটা।
অপরদিকে মুশরাফার চেহারার আদলও বদলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। দুধে আলতা মুখটায় রক্ত এসে জমাট বাঁধছে। নাকের ডগা ফুলে লাল, চোখের পাতা রক্তিম হলো ক্ষণেই। জাওয়াদ সে অনুভূতির জোয়ারে ভাসা চোখে চোখ রাখতে পারল না। ঢোক গিলে দৃষ্টি ঘুরাল, ঘুরাল মাথাও। কিছু বলতে গেল, গলা কেঁপে উঠল তার। স্তব্ধতায় স্বরও বাকরুদ্ধ। স্বর যেন কারফিউ জারি করেছে । এ পথে আজ কোনো কথা মাড়াতে পারবে না। মাড়ালেই বধ। এত কাছে এসে দূরত্বের বাণী শোনানো যায়?
মুশরাফা বাঁকানো মুখটা নিজের দিকে ফিরিয়ে মিষ্টিসুরে বলল, “শুদ্ধ থাকা একটা ক্ষণও দৃষ্টি সরাবেন না। চোখে চোখ রেখে ‘তালাক’ বলুন, যেভাবে বলেছিলেন ‘ভালোবাসি’।”
Reviews
There are no reviews yet.